প্রতিবেদন : অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে। মোট ২৬টি ক্যামেরা বসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ক্যাম্পাস ও হস্টেলে। এর জন্য খরচ হবে ৩৭ লক্ষ টাকা। প্রত্যেক গেটে থাকবে সিসি ক্যামেরা। যাদবপুরের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসেও বসছে ক্যামেরা। ক্যামেরা বসছে মেন হস্টেলের গেটেও।
আরও পড়ুন-শহরে দেশবিদেশের পর্যটকদের জন্য অভিনব ভাবনা রাজ্যের, মনীষীদের মূর্তিতে এবারে কিউআর কোড
আগামী ২ মাস ধরে এই সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ করবে ওয়েবেল। জানা গিয়েছে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত এই ক্যামেরাগুলি দিনে ও রাতে রঙিন ছবি তুলতেও সক্ষম। সেই সঙ্গে এই ক্যামেরাগুলি ভিডিওর পাশাপাশি অডিও রেকর্ড করতেও সক্ষম। এই ক্যামেরায় যে কোনও ব্যক্তির খুব মুখ সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। কিন্তু এরপরও ক্যাম্পাসের একটা বিরাট এলাকা নজরদারির বাইরে থেকে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ৩ ও ৪ নম্বর গেটে থাকছে ৩টি করে ক্যামেরা। ১, ২ ও ৫ নম্বর গেটে বসছে ২টি করে ক্যামেরা। প্রশাসনিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অরবিন্দ ভবনেও বসছে ক্যামেরা। এদিকে সেনাবাহিনীর পোশাক-কাণ্ডে ধৃত এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কাজি সাদেক হোসেনকে রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে শিক্ষায় প্রথম সারিতে বাংলা
গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর পোশাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে কিছু সন্দেহজনক লোকজনকে দেখা যায়। সেই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল সবমহলে। তদন্তে নেমে ঘটনার মূল অভিযুক্ত কাজি সাদেক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক তিনি। ওই ঘটনার পরই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। সেইদিনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয় যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে।