আজ তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের ২৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতার মেয়ো রোডে (Mayo road) সভায় ভাষণ দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঞ্চ থেকে এদিন তিনি বিভিন্ন বিষয় শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন। উদ্বুদ্ধ করেন ছাত্র যুবদের। তিনি মঞ্চে উঠেই বলেন ‘প্রথম রোদে আপনারা দগ্ধ হচ্ছেন। কিন্তু মনটা দগ্ধ হয়নি। মনটা পুলকিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন-‘ফাঁসির মঞ্চ করো, প্রাণ দেব’ কেন্দ্রকে নিশানা করে ক্ষোভ প্রকাশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দত্তপুকুরের ঘটনা নিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁরা অবৈধ কাজ করেন, তাঁদের একটু বেশি লোভ। আমরা সবুজ বাজি নিয়ে বৈঠক করেছি। এটা তো দীর্ঘদিন ধরে আছে। বালিচুরি, ইটভাটা নিয়ে কোনও আইন ছিল না। আমরা সেগুলি করেছি। আতসবাজি নয়, সবুজবাজি তৈরি করুন। তাতে হয়ত টাকা কম আসবে। কিন্তু জীবনটা তো বাঁচবে।’
আরও পড়ুন-‘দড়ি ধরে মারো টান’ তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠা দিবসে কেন্দ্রকে নিশানা দেবাংশুর
অভিষেকের মত এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একশ্রেণির সাংবাদিকদের আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘টাকা নিয়ে তাঁরা মমতার বিরুদ্ধে লিখছেন তাঁদের পকেটে কোথা থেকে টাকা আসছে, সেটা যদি খুলতে শুরু করি, তাঁদের বাড়িতে রেড শুরু করি… তবে করব না, তাঁরা কোথা থেকে টাকা কালেক্ট করেন, তাহলে দেখিয়ে দিতাম যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতারা টাকা কালেক্ট করেন না, সাংবাদিকরা আরও বেশি টাকা কালেক্ট করেন।’
আরও পড়ুন-তদন্তের এক্তিয়ার নেই রাজ্যপালের
নিজের ছাত্র জীবনের রাজনীতির স্মৃতিচারণ করে এদিন তিনি বলেন, ‘সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম তো সম্প্রতি হয়েছে। লোহার তার, লোহার চেন দিয়ে পুরো জায়গাটা খালি করেছিল। আমি হঠাৎ দেখলাম, আমায় তাড়া করল। আমার সঙ্গে ছিলেন দিলীপ মজুমদার। তিনি মারা গিয়েছেন। প্রথমে আমায় একটা ডান্ডা মারল। মাথার ডানদিক থেকে গলগল করে রক্ত পড়ছে। আমি ভাবছি যে পুলিশের ডান্ডা ওরা কোথা থেকে পেল? ততক্ষণে ওরা মাথার বাঁ-দিকে মারল। আমি হাজরায় মিছিল করছি। ঘিরে ফেলল লোহার তার দিয়ে। পুরো জায়গা খালি করল। কল্যাণ বলেছে আমায় মারছিল। যাতে কেউ না আসতে পারে। আমায় তাড়া করেছে। আমি পড়ে গেলাম একা। আমার সঙ্গে যারা ছিলেন সকলে মারা গিয়েছে। প্রথমে ডান্ডা মারল। কিন্তু আমার লাগেনি। আমি ভাবছি পুলিশের ডান্ডা পেল কোথা থেকে। এরপর তৃতীয়বার মাথায় মারল। এত মেরেছে আমার হাত থেঁতলে গিয়েছিল। একদিন রটে গিয়েছিল আমি মারা গিয়েছি। পার্লামেন্ট অ্যাডজর্ন হয়ে যায়। একুশে জুলাই কোমরে পেরেছে। আমার চোখে অসুবিধা হয়। সারা শরীর আমার ভগ্ন। আমি জিন্দা লাস হয়ে বেঁচে রয়েছি। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম সিপিএম-কে সরাবো। আজ আমার লড়াই বিজেপিকে দিল্লি থেকে সরাবো’
আরও পড়ুন-নীরজের ঝুলিতে সোনা, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন তিনি বলেন, ‘আমায় যদি জিজ্ঞাসা করেন যে আপনার কাছে সবথেকে গর্বের বিষয় কোনটা? আমি ছাত্র রাজনীতির প্রোডাক্ট। দুধের ডিপোতেও কাজ করেছি। আমি যোগমায়া কলেজের ইউনিট প্রেসিডেন্ট ছিলাম। সেটা কলেজের ইউনিটের জন্য খরচ করেছি।’