প্রতিবেদন : নাটকীয় জয়ে প্রত্যাবর্তনের নতুন গল্প লিখল ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতীতে জ্বলল লাল-হলুদ মশাল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠল লাল-হলুদ। উৎসবে মাতোয়ারা কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। বহুদিন পর ট্রফির স্বপ্ন দেখা শুরু।
আরও পড়ুন-ব্যাপক উদ্দীপনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি, ধূপগুড়িতে প্রচারে আসছেন অভিষেক
বুধবার ডুরান্ডের প্রথম সেমিফাইনালে শুরু থেকে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি ইস্টবেঙ্গলকে। ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে থেকেও খেলায় নাওরেম মহেশ সিং ও সংযুক্ত সময়ের শেষ মিনিটে (৯৭) নন্দকুমারের গোলে খেলায় সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর টাইব্রেকারে শেষ হাসি তাদের। ৫-৩ গোলে জয় ক্লেটন সিলভাদের। টাইব্রেকারে নায়ক লাল-হলুদের গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। তাঁর দস্তানায় ফাইনাল কার্যত নিশ্চিত হয় ইস্টবেঙ্গলের। টাইব্রেকারে শেষ শটে গোল করে দলকে ফাইনালে তোলেন সেই নন্দকুমার। ডার্বি থেকে লাল-হলুদের ত্রাতা তিনি। নর্থইস্টের মণিপুরী উইঙ্গার কোনসাম ফাল্গুনী সিংয়ের দুরন্ত পারফরম্যান্স কোনও কাজে এল না।
আরও পড়ুন-দত্তপুকুর-কাণ্ড হাইকোর্টে আবার জোর ধাক্কা খেল বাংলার গদ্দার
খেলার শুরু থেকে এদিন ইস্টবেঙ্গলকে ছন্দে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছিল, নর্থইস্ট নয়, ইস্টবেঙ্গলই বোধহয় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছে। মাঝমাঠের দখল নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল নর্থইস্ট। খেলার ২২ মিনিটে চমক দেন জুয়ান পেদ্রো বেনালির ছেলেরা। বাঁ-দিক থেকে বল নিয়ে ভিতরে ঢুকে লাল-হলুদ রক্ষণে অসাধারণ সেন্টার করেন মণিপুরী উইঙ্গার কোনসাম ফাল্গুনী সিং। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়েই দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন জাবাকো। এগিয়ে যায় নর্থইস্ট। ছন্নছাড়া ফুটবল খেলায় ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও দ্রুত গোলশোধ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। জেভিয়ার সিভেরিও, মন্দার রাও দেশাইরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি প্রথমার্ধে।
আরও পড়ুন-বিশ্ব মিটে চানু ওজন তুলবেন না
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল করার তাগিদ দেখালেও ইস্টবেঙ্গল গোল পায়নি। বরং ৫৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নর্থইস্ট। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল ধরে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে দাঁড় করিয়ে বাঁ-পায়ের শটে অসাধারণ গোল করেন ফাল্গুনী। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় নর্থইস্ট। এরপর ৭৫ মিনিটে এক গোল শোধ করে ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটনের ক্রস থেকে নাওরেমের শট নর্থইস্টের ডিফেন্ডার দীনেশ সিংয়ের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢুকে যায়। গোল খেয়ে রক্ষণাত্মক হয়ে যায় নর্থইস্ট। আরও চাপে পড়ে যায় তারা। মিগুয়েল লাল কার্ড দেখার পর দশজন হয়ে যায় নর্থইস্ট। সংযুক্ত সময়ের সাত মিনিটের মাথায় হেডে গোল করে খেলায় সমতা ফেরান নন্দকুমার। এরপর টাইব্রেকারে বাজিমাত ইস্টবেঙ্গলের।