বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি কেন্দ্রের। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই ইউরোপ প্রধানত স্পেনে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো (Mamata Banerjee)। দুবাই যাওয়ারও কথা রয়েছে তাঁর। লক্ষ্য বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (BGBS)-এ লগ্নি টানা। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর এই বিদেশ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে আগে ২ বার অনুমতির আবেদন জানানো হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে বিদেশে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ১২ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর- ১১ দিনের এই সফরে স্পেনের পাশাপাশি দুবাইয়েও যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। দুবাইতে ২ থেকে ৩দিন থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার বণিক মহলের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি স্পেনে ৫-৬ দিনের কর্মসূচি রয়েছে। স্পেনে অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতিদের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনা করবেন সেখানকার বণিক মহলগুলির সঙ্গে।
আগামী বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (BGBS) তথা বাণিজ্য সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে লগ্নি টানাই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের মূল উদ্দেশ্য। এই সফরে বাংলার শিল্প ও বাণিজ্য মহলের প্রতিনিধি দল সামিল হতে পারেন। থাকার কথা মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও শিল্প দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন-চিকিৎসকদের অনুমতির পরেই ২৬ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাত সম্ভব, জানাল হাই কোর্ট
ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে কেন্দ্রের থেকে অনুমতির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সরকারি কর্মসূচি হলে বিদেশ মন্ত্রককে জানাতে হয়। এতে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে কূটনৈতিক দৌত্য চালাতে পারেন। পাশাপাশি, সেই দেশের ভারতীয় দূতাবাস প্রোটোকল অনুযায়ী লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়। তবে কেন্দ্রের মোদি সরকারে সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে একবার চিন ও শিকাগো – দুজায়গায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সফরে যাওয়ার দেয়নি বিদেশ মন্ত্রক। এবারের সফর নিয়েও দু’বার আপত্তি জানায় কেন্দ্র। অবশেষে অনুমতি মিলেছে।
২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্যে শিল্পায়নে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসংস্থানে নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় বিনিয়োগ টানতে ফের বিদেশ সফরে যাচ্ছেন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর, অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি ও সেখানকার বণিক মহলকে বাংলায় আমন্ত্রণ জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, বাংলা খনিজ ভাণ্ডারের বিষয়টিও সেখানকার বণিক মহলের সামনে তুলে ধরতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।