আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশন সংসদে (Special Parliament session)। এই অধিবেশন ডাকা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সরকারের ডাকা এই বিশেষ অধিবেশন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বৃহস্পতিবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, “সংসদের বিশেষ অধিবেশন (১৭ তম লোকসভার ১৩ তম অধিবেশন, রাজ্যসভার ২৬১তম অধিবেশন) ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরে আয়োজিত হতে চলেছে ৫টি বৈঠকের মাধ্যমে। অমৃতকালের মধ্যে সংসদে বিতর্ক এবং ফলপ্রসূ আলোচনা করতে চাইছি।’
সদ্য শেষ হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন(Special Parliament session)। এর মধ্যেই আচমকা কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকলো সরকার তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও বিশেষ অধিবেশন ডাকার কোনও কারণ জানানো হয়নি। তবে এর জেরে মোদি সরকারের কোনও বড় পদক্ষেপ নেওয়ার গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে গতি পেয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, বাদল অধিবেশনে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন না হওয়ায় ১৮ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে নতুন সংসদ ভবনে। ১১ আগস্ট সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শেষ হয়েছে। পুরো অধিবেশন চলাকালীন, বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে। শেষে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় বিবৃতি দেন।
আরও পড়ুন- বাংলায় বিদেশী বিনিয়োগই লক্ষ্য, ১১ দিনের স্পেন-দুবাই সফরে মুখ্যমন্ত্রী
সরকারের ডাকা এই বিশেষ অধিবেশন নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার জানিয়েছেন ,”বিরোধীদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ নেই, কোনো এজেন্ডা জানা নেই, স্পিকার বা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কোনো বার্তা নেই। প্রভু আমাদের সবাইকে ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদে উপস্থিত থাকার জন্য ডেকেছেন। কেবল একজন গোয়েন্দা বা জ্যোতিষীই আমাদের বলতে পারেন এরপর কী।” অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন,এ বিষয়ে আমাদের কোন তথ্য দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই মুম্বইতে বিরোধীদের হাইভোল্টেজ বৈঠকের দিকে নজর সকলের । তার পরে সেপ্টেম্বরে সংসদের এই অধিবেশনে কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।