প্রতিবেদন : মহানগরীর পরিবেশ রক্ষায় এবারে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার। ধাপার মতো জঞ্জালের পাহাড়ের আর পুনরাবৃত্তি চাইছে না কর্তৃপক্ষ। বিকল্প হিসাবে এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে পরিবেশবন্ধব আধুনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প। এরজন্য জমিও বেছে নেওয়া হয়েছে। বাসন্তী হাইওয়ের ধারে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৭৩ হেক্টর জমি।
আরও পড়ুন-গুলির লড়াই, আবার নতুন সংঘর্ষ মণিপুরে
জমিটি অবশ্য এখন ব্যবহৃত হয় কৃষিকাজে। আছে মাছের ভেড়িও। এই জমির মালিকানা পুরসভা হলেও, এখানে চাষ আবাদ করে যাঁরা নিজেদের এবং পরিবারের রুজিরোজগারের ব্যবস্থা করেন, তাঁদের বঞ্চিত করবে না পুর কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেককেই দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। জায়গাটি ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জনকে দেওয়া হতে পারে ক্ষতিপূরণ। এইরকমই একটি সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুরসভা। কথাবার্তাও শুরু হয়েছে কৃষিজীবী ও মৎজীবীদের সঙ্গে। তবে এই ধরনের প্রকল্প রূপায়ণের জন্য সম্মতি দরকার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরেরও। সেই সম্মতি তো মিলেওছে, পাওয়া গিয়েছে ইস্ট কলকাতা ওয়াটারল্যান্ড অথরিটির সবুজ সঙ্কেতও।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে জি-২০ সামিটের আগে ফাঁস ১০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার করেছেন আদানি!
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা সমস্ত প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি মেনে এই জমির কোনও কৃষিজীবী বা মৎস্যজীবী যাতে ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে সতর্ক নজর রেখেছেন। জঞ্জাল অপসারণ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দফতরের মেয়র পারিষদও জানালেন এই কথাই।