প্রতিবেদন: সংসদের বিশেষ অধিবেশনকে (Parliament Special Session) সামনে রেখে বিরোধী রণকৌশল ঠিক করতে আজ বৈঠকে বিরোধীরা। একদিকে ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অন্যদিকে কংগ্রসের সংসদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। মোদি সরকারের অগণতান্ত্রিক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে যাতে সংসদের ভিতরে একসুরে কথা বলা যায় সেটাই লক্ষ্য বিরোধী জোটের। মঙ্গলবার বিকেলে কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটিকে। পাশাপাশি সংসদে সরকারকে চাপে ফেলতে বিরোধীদের পন্থা কী হবে তা ঠিক করতে ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় প্রতিনিধিদের বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদে পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে মোদি সরকার। বিরোধীদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে কেন্দ্রীয় সরকারের এই একতরফা অধিবেশন ডাকা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। অনুমান করা হচ্ছে, লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা, এক দেশ এক নির্বাচন, ভারতীয় দন্ড সংহিতা বিল সহ বেশ কিছু বিল সংখ্যার জোরে তড়িঘড়ি পাশ করাতেই ডাকা হয়েছে এই অধিবেশন। তবে কেন্দ্রের পরিকল্পনা যাই থাক না কেন, মোদি সরকারের জাতীয় স্বার্থবিরোধী পরিকল্পনা যাতে রুখে দিতে এবং আসন্ন অধিবেশনের রণকৌশল ঠিক করতে কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর ডাকা দলীয় বৈঠকের পাশাপাশি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেনুগোপাল জানিয়েছেন, খাড়্গেজি সমমনস্ক বিরোধী দলগুলির সাংসদদের একটি বৈঠক ডেকেছেন আসন্ন অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। সংসদের ভিতরে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই লক্ষ্য আমাদের।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে রাজ্য সরকার, বেআইনি সার্কুলার এখনই প্রত্যাহার করুন
এদিকে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সচিবালয় জানিয়েছে, ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিনে পাঁচটি অধিবেশন রাখা হচ্ছে এবং সদস্যদের পৃথকভাবে অধিবেশনের অস্থায়ী ক্যালেন্ডার সম্পর্কে অবহিত করা হবে। যদিও কোনওরকম পূর্ব আলোচনা ছাড়া সংসদের দুই সদনের বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটিকে না জানিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকায় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা।