অমিতকুমার দাস: নাম বদলের ধারা অব্যাহত রেখে এবার দেশের নাম (ইন্ডিয়া) মুছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপে দেশের অন্দরে বিতর্ক তৈরি হলেও এর ফায়দা নিতে মুখিয়ে উঠল আর একটি দেশ। জানা যাচ্ছে, ভারত যদি ইন্ডিয়া নাম ছেড়ে দেয় সেক্ষেত্রে পাকিস্তান নিজেদের দেশের নাম ‘পাকিস্তান’ বদলে নয়া নাম রাখবে ‘ইন্ডিয়া’। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারত ‘ইন্ডিয়া’ নাম সংবিধান থেকে সরিয়ে দিলে পাকিস্তান নিজেদের দেশের নাম রাখবে ‘ইন্ডিয়া’। পাকিস্তানের এহেন দাবি অবশ্য দীর্ঘদিনের।
আরও পড়ুন-কী বলছে নির্বাচন কমিশন?
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকার ‘ইন্ডিয়া’ নাম বাতিল করলে পাকিস্তান নিজেদের দেশের নাম বদলে ‘ইন্ডিয়া’ নামের দাবি জানাতে পারে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের তরফে দাবি জানানো হচ্ছে, ‘ইন্ডিয়া’ বলতে সিন্ধু অঞ্চলকে বোঝায়। যার বেশিরভাগটাই বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এই নাম তাদের দেশের নাম হওয়া উচিত। যার ফলেই পাকিস্তানের নজর এখন ভারতে চলতে থাকা নাম বদলের চর্চার দিকে। জানা যাচ্ছে, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেশ হতে চলেছে দেশের নাম ইন্ডিয়া মুছে শুধুই ভারত রাখার প্রস্তাব। আর এই প্রস্তাব যদি বাস্তবায়িত হয় সেক্ষেত্রে কাল বিলম্ব না করে নিজেদের দেশের নাম ‘পাকিস্তান’ থেকে বদলে ‘ইন্ডিয়া’ করবে শাহবাজ শরিফের সরকার।
আরও পড়ুন-বিচারকের কাজ রোবটের মতো নয়
উল্লেখ্য, দেশের নাম বদল নিয়ে এই জল্পনার সূত্রপাত রাষ্ট্রপতির এক চিঠিকে কেন্দ্র করে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি২০ সমাবেশে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্রও যাচ্ছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরেই তোলপাড় শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কারণ, দেশের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি২০ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কথাটি। যাকে কেন্দ্র করেই এই জল্পনার সূত্রপাত।
আরও পড়ুন-ইরাক ম্যাচে আজ পরীক্ষা ভারতের
এদিকে আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে সংসদের উভয়কক্ষে। মনে করা হচ্ছে এই বিশেষ অধিবেশনেই পেশ হতে পারে দেশের নাম থেকে ইন্ডিয়া মুছে ফেলার প্রস্তাব। তবে মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির। বিরোধীদের কটাক্ষ, ইন্ডিয়া জোটের আতঙ্কেই সংবিধানে দেওয়া দেশের নাম মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার।