প্রতিবেদন: সেদিন রাত তখন সাড়ে ১১টা। বেশিরভাগ বাড়িতে আলো নিভে গিয়েছে। আচমকা বিকট শব্দে ভেঙে যায় ঘুম। খাট, বিছানার পাশপাশি দুলছে গোটা বাড়ি! প্রাণভয়ে ঘর থেকে বাইরে বেরোতে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। সকলেই ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে রাস্তায়। মরক্কোয় সেই আতঙ্কের রাতের কথা এখনও ভুলতে পারছেন না বেঁচে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুন-অমানবিক ইসিএল, জমি নিয়েও প্রতিশ্রুতিমতো চাকরি দেয়নি, দাবি আদায়ে অনশনে জমিদাতারা
গত শনিবার আচমকাই মরক্কোর মারাকাশের ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৮। এই ভূমিকম্পের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন দু’হাজারেরও বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে আছেন বলে খবর। দুর্যোগের রেশ এখনও কাটেনি মরক্কোতে। তার মাঝেই সেই আতঙ্কের রাতের বর্ণনা দিচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মারাকাশের এক বাসিন্দার কথায়, ভূমিকম্পের পর আর বাড়িতে ঢোকার সাহস পাননি কেউ। অনেকে রাস্তাতেই ঘুমোচ্ছেন। আবার কম্পন অনুভূত হলে যদি পালানোর সুযোগ না মেলে! এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘বিছানায় শুয়ে মনে হচ্ছিল, খাটটি উড়ে চলে যাবে। বাড়ির ঝাড়বাতিটিও ভেঙে পড়ে যায়। দরজা, জানলা নিজে থেকেই খুলে যাচ্ছিল, আবার জোরে শব্দ করে নিজেই বন্ধ হচ্ছিল।
আরও পড়ুন-অসুস্থ ধর্মেন্দ্র, চিকিৎসা হবে মার্কিন মুলুকে
মরক্কোর ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ৮০০ কিলোমিটার গভীরে। অনেকে বলছেন, এত শক্তিশালী ভূমিকম্প মরক্কোতে আগে কখনও ঘটেনি। কম্পনের আঘাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে একাধিক বাড়ি। ভাঙা বাড়ির নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। মারাকাশের বিভিন্ন রাস্তায় চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ এবং টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মারাকাশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে আহতদের ভিড়। মরক্কোর ভূমিকম্পের ঘটনায় সে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশ আলজেরিয়া ছাড়াও ভারত, আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ বহু দেশ।