অদিতি গায়েন, মাদ্রিদ (মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী): রানাঘাটে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া পুলিশ আধিকারিককে মাদ্রিদ থেকেই পুরস্কৃত করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সেনকো (Senco gold robbery) কর্তা শুভঙ্কর সেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাজ্য পুলিশের। বলেছেন, ডাকাতির কিনারা করতে দ্রুত গতিতে কাজ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রিদে হাঁটতে বেরিয়ে তাঁর সঙ্গে সফররত অন্যতম ডাইরেক্টর সিকিউরিটি মনোজ ভার্মাকে নির্দেশ দেন, বিহার-ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীরা যাতে বাংলায় ঢুকতে না পারে সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন- ফুটবলে বিপ্লব, বাংলায় এবার তৈরি হবে বিশ্বমানের অ্যাকাডেমি
গত ২৯ অগাস্ট দুপুরে রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় কাছাকাছি সময়ে ডাকাতি (Senco gold robbery) হয় সোনার দোকানে। ডাকাতরা একটি প্রখ্যাত সোনার শোরুমে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গয়না ও টাকাপয়সা লুট করে পালায়। এরপর রানাঘাট থানার আইসি সঞ্জীব সেনাপতির নেতৃত্বে রতনকুমার রায় হাতে পিস্তল নিয়ে তাড়া করেন দুষ্কৃতীদের। গুলিও চালান। ঘায়েল হয়ে এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে। পরবর্তীকালে এই দুই পুলিশ আধিকারিক ছাড়াও আরও দুই সাব ইন্সপেক্টর আলতাব হোসেন, জয়ন্ত ঠাকুর এবং আরও এক এএসআই জয়ন্ত ঠাকুরকে সংবর্ধিত করা হয় তাঁদের সাহসিকতা ও কাজে নিষ্ঠার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এঁদের বীরত্বের সম্মানে ভূষিত করতে চান। রানাঘাটের ডাকাতিতে আরও চারজন ধরা পড়ে। পুরুলিয়ার ঘটনাতেও ঝাড়খণ্ডে বসেই ব্লুপ্রিন্ট করা হয়েছিল। তাই বাংলা সীমান্তে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।।