প্রতিবেদন : নাবালিকাদের স্বার্থে তৈরি সরকারি জুভেনাইল হোম (Uttar pradesh- Juvenile home) যেন নির্যাতনের আঁতুড়ঘর। যোগীরাজ্য আগ্রার এক জুভেনাইল হোমের যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে তা দেখলে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক নাবালিকাকে বেলাগাম চড় থাপ্পড় মারছেন শিশুদের নিরাপত্তার দায়িত্বে এক মহিলা, পাশাপাশি আর এক নাবালিকার হাতে-পায়ে দড়ি বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর ওই আধিকারিকের শাস্তির দাবি উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়েও।
আগ্রার এই জুভেনাইল হোমে (Uttar pradesh- Juvenile home) কিছুদিন আগেই এক নাবালিকা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সেই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এরপর সিসিটিভি ফুটেজের এই ভিডিও স্পষ্ট করে দিচ্ছে কেন এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে জুভেনাইল হোমে। ভাইরাল হওয়া ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হোমের দায়িত্বে থাকা সরকারি মহিলা আধিকারিক জুতো দিয়ে এলোপাথাড়ি মারছে খাটে শুয়ে থাকা এক নাবালিকাকে। পাশে আর একটি খাটে শুয়ে রয়েছে কয়েকজন নাবালিকা, তাদের একজনকে একইরকম গালিগালাজ ও চড় মারা হচ্ছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ৭ বছরের এক শিশুর হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে খাটের উপর। এই ঘটনা যখন ঘটছে তখন পাশে দাঁড়িয়ে কোনও প্রতিবাদ না করে গোটা বিষয়টি দেখছেন অপর এক মহিলা।
ঘটনা প্রকাশ্যে অভিযুক্ত ওই মহিলা আধিকারিকের নাম পুনম পাল। সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর অভিযুক্ত ওই মহিলাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত আধিকারিক পুনম পালের এহেন কর্মকাণ্ড এই প্রথমবার নয়, এর আগে প্রয়াগরাজে এমনই এক জুভেনাইল হোমের দায়িত্বে ছিলেন তিনি সেখানেও নাবালিকাদের উপর একইরকম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে বাড়ছে ডাক্তারির আসন সংখ্যা