প্রতিবেদন : হাইকোটের্র নির্দেশে চাপে পড়ে অবরোধ থেকে পিছু হটল কুর্মিরা। আন্দোলনের নামে জনজীবন স্তব্ধ করা আটকাতে পুরুলিয়া চেম্বার অফ কমার্সের তরফে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এবার সেই রেল ও রাস্তা রোকো আন্দোলন কর্মসূচিকে বেআইনি ঘোষণা করল হাইকোর্ট। কোনওভাবে আন্দোলনের নামে এইভাবে রেল ও রাস্তা বন্ধ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে উচ্চআদালত। তারপরও বিজেপির উসকানিতে গোঁয়ারতুমি করছিল কুর্মিদের একাংশ।
আরও পড়ুন-কসবা হাইস্কুল নিয়ে সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
কিন্তু রাজ্য সরকারও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল পুজোর আগে এভাবে আন্দোলন করে জঙ্গলমহলকে অশান্ত করা যাবে না। এই বেয়াদবি বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে। আদিবাসী কুর্মি সমাজের মুখ অজিতপ্রসাদ মাহাত রীতিমতো হুমকি দিয়ে জানিয়েছিল, আমাদের একটাই কথা ২০ সেপ্টেম্বর আমরা রেল অবরোধ সফল করবই। সকলকে বলা হয়েছে, পুলিশ যতই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক চার জেলাতেই রেল অবরোধ হবে। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাতেও হবে। কিন্তু তারপরই হাইকোর্টের নির্দেশের চাপে পড়ে এই আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। অবরোধে সমর্থক কুর্মিদের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে তিনি অবরোধ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানালেও তারই সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন।
আরও পড়ুন-রানিগঞ্জে পার্কিং সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী প্রশাসন
তবে বিজেপির প্ররোচনায় শান্ত জঙ্গলমহলকে অশান্ত করতে তাদের আন্দোলনকে যে রেয়াত করা হবে না তাও প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কোনওরকম অসুবিধা বরদাস্ত করবে না রাজ্য বলেও জানিয়েছে রাজ্য।