ব্যুরো রিপোর্ট : উত্তরের তিন জেলায় দাপিয়ে বেড়াল হাতির (Elephant) দল। কোথাও নষ্ট করল ধানখেত। কোথাও আবার রাস্তা অবরোধ। কোথাও ভাঙল ঘর। সবমিলিয়ে হুলুস্থুলু কাণ্ড। প্রথম ঘটনাটি আলিপুরদুয়ারের। ফালাকাটায় রাতের অন্ধকারে ধানখেতে হানা দেয় হাতির পাল। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি হাতির একটি দল হানা দেয় ওই এলাকায়। বিঘার পর বিঘা ধানখেত তছনছ করে দিয়েছে হাতির (Elephant) পাল। বন দফতর জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা নিয়ম মেনে আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ পাবেন। কোচবিহারেও একই কাণ্ড। তিনটি হাতি তান্ডব চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা দুই ব্লকের লতাপাতার দোলং চা বাগান এলাকায়। হাতিগুলিকে সকাল থেকে এলাকায় দেখা যায়। তারপর চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিনটি হাতির মধ্যে একটি শাবক ও দুটি বড় হাতি ছিল। এদিকে বুধবার চালসা-লাটাগুড়ি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল একটি হাতি। অবরোধের ফলে সড়কের দুই ধারে বহু যানবাহন আটকে পড়ে। বুধবার দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত জঙ্গলের ভিতরের জাতীয় সড়কে একটি দাতাল হাতির অবরোধ করে। এতে জাতীয় সড়কে উভয় পাশে যানজট হয়। বহু বাইক, স্কুটি, ছোট ও বড় গাড়ি-সহ সকলকেই বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২টা নাগাদ আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের করাইবাড়ি এলাকায় বন দপ্তরের পাতা খাঁচায় বন্দি হয় একটি চিতা বাঘ। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা-বাগান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি অসুস্থ ময়ূরকেও।