একের পর এক পাইলটের পদত্যাগের কারণে বাতিল করতে হচ্ছে উড়ান। বুধবার আদালতে এমনটাই জানিয়েছে আকাসা এয়ার (Akasa Air)। পরিস্থিতি যদি এমন চলতে থাকে তবে খুব শীঘ্র সংস্থা পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।
আরও পড়ুন-কাল শিল্প ও প্রবাসী সম্মেলনের প্রস্তুতি চরমে
ভারতীয় এভিয়েশন রেগুলেশন অনুযায়ী, চাকরি ছাড়তে গেলে পাইলটদের ৬-১২ মাসের নোটিশ পিরিয়ড দিতে হয়। দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আকাসা এয়ার জানিয়েছে, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) কে আদালত নির্দেশ দিক, যাতে যে সমস্ত পাইলটরা বাধ্যতামূলক নোটিশ পিরিয়ড না মেনে চাকরি ছেড়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। গত অগস্টে ৬০০ উড়ান বাতিল করেছে আকাসা এয়ার। সেপ্টেম্বরেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। ২০২২-এর ৭ অগস্ট মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু করে তারা। কিন্তু এই হঠাৎ করে একাধিক পাইলট ছেড়ে দেওয়ায় এই পরিষেবা ধাক্কা খায় ।
আরও পড়ুন-বাংলার কিরীটেশ্বরী গ্রাম দেশের মধ্যে সেরা পর্যটন স্থল, কেন্দ্রের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী
স্বল্পমূল্যের এয়ারলাইন আকাসা এয়ার, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে ৪০ জনের বেশি পাইলটের চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে তাদের আর্থিক এবং অপারেশনাল অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। আকসা এয়ারের এভাবে বিমান চালকদের চাকরি ছাড়ার ফলে আগস্ট মাসে আকাসার স্বাভাবিক মাসিক ফ্লাইটের ৩৫০০ টি ফ্লাইটের প্রায় ১৮ শতাংশ বাতিল হয়ে গেছে, যা এর কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে।
আরও পড়ুন-ইডি-সিবিআই- কে ভয় পাই না, ৪ বছর তথ্য দিচ্ছি, জানালেন অভিষেক
১৪ই সেপ্টেম্বর জমা দেওয়া একটি বিস্তৃত ২৬৫-পৃষ্ঠার আইনি ফাইলিংয়ে, আকাসা এয়ার ডিজিসিএকে “কোনও পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক” বলে অভিযুক্ত করেছে, যার ফলে অপারেশনাল সমস্যা এবং ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার নির্ধারিত আদালতে শুনানির সময় ডিজিসিএ তার প্রতিক্রিয়া উপস্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।