প্রতিবেদন : টানা ১৪ দিনের নিভৃতবাস কাটিয়ে শুক্রবার থেকেই জেগে ওঠার আশা ছিল ল্যান্ডার বিক্রম আর রোভার প্রজ্ঞানের। কিন্তু দু’দিন কেটে গেলেও কোনও সাড়া মিলছে না দুজনের। এখনও আশা জিইয়ে রেখে যোগাযোগের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁদের ধারণা, হয়তো চিরঘুমেই চলে গিয়েছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। তবে নির্দিষ্ট সময়ে তারা যে কাজ করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্য পাঠিয়েছে তা এদেশের মহাকাশ গবেষণাকে কয়েক যোজন এগিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন-রবিবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী
গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ করে ভারতের চন্দ্রযান ৩। কিছু সময়ের মধ্যেই ল্যান্ডার বিক্রমের থেকে আলাদা হয়ে গুটিগুটি পায়ে হাঁটতে শুরু করেছিল রোভার প্রজ্ঞান। ১০০ মিটার হেঁটে ফেলেছিল সে, চাঁদের বুকে সেলফিও তুলে পাঠিয়েছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে। তারপর প্রায় এক পক্ষকালের ঘুম। ২২ সেপ্টেম্বর ছিল তাদের জেগে ওঠার দিন। কিন্তু তাদের সাড়া মেলেনি। বিক্রম-প্রজ্ঞানের ফের সচল হওয়ার আশা তাই ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। যদিও ইতিমধ্যেই ১৪ দিনের আঁধার কাটিয়ে চাঁদে ভোর হয়েছে, আলো ফুটতে শুরু করেছে। কিন্তু বিক্রম-প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙা নিয়ে সন্ধিহান বিজ্ঞানীরা। ঘুমোতে পাঠানোর আগে বিক্রমের রিসিভার অন রাখা হয়েছিল। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মিশনে যে ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদে গিয়েছিল, সেই দুটির আপাতত কোনও সিগন্যাল মেলেনি। আসলে চাঁদে যখন সূর্যের আলো পৌঁছায় না, তখন তাপমাত্রা মাইনাস ২০০ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। যে পরিবেশে কাজ করা অসম্ভব। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ফের বেঁচে ওঠার আশা কার্যত নেই। তবুও এখনই হাল ছাড়ছে না ইসরো।
আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে মারছে পুলিশ, ভাইরাল ভিডিও
ইসরোর ডিরেক্টর ড. এস সোমনাথ বলেছেন, মানব সভ্যতার অগ্রগতির জন্যই আমরা চাঁদকে জানতে চাই, চাঁদে যেতে চাই। এবারের চন্দ্র-অভিযান সফল। এই অভিযানে যেসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করে দেখা হবে। ভবিষ্যতের জন্য এই তথ্যগুলি খুবই কার্যকর হবে।