প্রতিবেদন : এবার রাজ্যের সব সরকারি দফতরেই বসছে স্মার্ট মিটার। রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিকাঠামো পরিষেবার আধুনিকীকরণের জন্য এরই মধ্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করেছে বিদ্যুৎ দফতর। তার জন্য যে বিপুল অঙ্কের লগ্নি দরকার, তার বড় অংশের ভার বইতে রাজি হয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক। আধুনিকীকরণ সংক্রান্ত পরিকল্পনাগুলির অন্যতম ছিল স্মার্ট প্রিপেইড মিটার ব্যবস্থা। সাধারণ গ্রাহক থেকে বাণিজ্যিক সংস্থা— সবাইকেই বর্তমানের পোস্ট পেইড ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে প্রিপেইড মিটারে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়। চালু হয় পাইলট প্রকল্পের কাজও।
ঠিক হয়েছিল, শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথম স্তরে থাকবে সরকারি দফতরগুলি। সেই তালিকায় যোগ হবে আধা সরকারি সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারি সংস্থা বা নিগমগুলি। এরপর বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে প্রিপেড মিটারের আওতায় আনতে হবে। তারপর ধাপে ধাপে গৃহস্থের মিটারকে বদলে ফেলা হবে প্রিপেইড মিটারে। বর্তমানে রাজ্য সরকারের সব অফিসগুলিতে এই মিটার বসানোর ব্যাপারে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের কাছেও বিদ্যুতের বিল বাবদ বকেয়া রয়েছে বিদু্ৎ বণ্টন সংস্থাগুলির। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বকেয়ার পরিমাণ বাড়ছে। তাই এবার বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে ‘ফ্যালো কড়ি মাখো তেল’ নীতি নিচ্ছে বিদ্যুৎ দফতর।
আরও পড়ুন-চাঁদনি চকে বহুতলে আগুন
রাজ্যের সব সরকারি দফতরে এবার বিদ্যুতের প্রিপেড মিটার বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের আশা, আগামিদিনে বিদ্যুৎ বিল বাবদ বকেয়ার ঝামেলা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে। আর তাই রাজ্যের সব সরকারি দফতরে এবার বিদ্যুতের প্রিপেড মিটার বসানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দফতরগুলিতে প্রিপেড মিটার ব্যবস্থা বণ্টন সংস্থাকে কতটা আর্থিক রেহাই দেয়, এখন সেটাই দেখার।