প্রতিবেদন : রাজ্যে ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি পুলিশকেও ডেঙ্গি-মোকাবিলার কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সোমবার, নবান্নে জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে তিনি ডেঙ্গু-পরিস্থিতি মোকাবিলায় একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। যার মধ্যে ডেঙ্গি-মোকাবিলায় পুলিশকে কাজে লাগানোর নির্দেশ অন্যতম। মূলত এলাকায় জল যাতে না জমে সেই দিকে থানা মারফত নজরদারি চালাতে মুখ্যসচিব পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন-সর্বস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক
পুরসভা এলাকাগুলিতে নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। এলাকায় নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ডেঙ্গির চিকিৎসায় রেফার বন্ধ করতে মুখ্যসচিব স্বাস্থ্য কর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেছেন, কোনও ডেঙ্গি-আক্রান্ত রোগী গেলে তাঁকে ফেলে না রেখে চিকিৎসা করতে হবে। মেট্রো রেলওয়ে, রেলওয়ে এবং সব কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গি-মোকাবিলায় তাদের আওতাধীন এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার রাখার কথা বলা হয়েছে। যাঁরা ডেঙ্গি-মোকাবিলার নিয়ম মানবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে বলে আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলেরই ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-শপথ-বিতর্ক : শোভনদেবের চিঠি বোসকে
এদিন প্রথম দফায় হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। পরে ভার্চুয়ালি বাকি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ শুরু হওয়া বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক, জেলা স্বাস্থ্যকর্তা এবং মেডিক্যাল কলেজের সদস্যেরা। জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি রুখতে স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক গাইড লাইন রয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলায়-জেলায় সেসব গাইডলাইন মানা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে ডেঙ্গি-মোকাবিলায় আরও কী-কী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে রাজ্যে ২৫০ থেকে ৩০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। স্বাস্থ্য দফতরের মতে, গত কয়েকদিন বৃষ্টি বেশি হয়েছে। ফলে খানাখন্দে বেশি করে জল জমছে। এই জল থেকেই ডেঙ্গি-মশার বাড়বাড়ন্ত।