প্রতিবেদন : দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন হয়েছে ৪০ বছর পর। গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন হয়েছে ২২ বছর পর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই এটা সম্ভব হয়েছে। এই মুহূর্তে পাহাড়ে ঢালাও উন্নয়নের কাজ চলছে। জিটিএ নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। বাংলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির এবার পাহাড়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। আজ বৃহস্পতিবার ভানু ভবনে হবে সেই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। দীর্ঘ কয়েক দশক পর আজ পাহাড় নতুন করে পথচলা শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। বন্ধ্যাত্বের কালো দিন পেরিয়ে এসে পাহাড়ে হয়েছে নতুন সূর্যোদয়।
গত কয়েক বছরে হাসি ফুটেছে পাহাড়বাসীর মুখে। সামনেই পর্যটনের ভরা মরশুম। প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধদের এখন নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। তারা দিন-রাত দৌড়ে বেড়াচ্ছেন উন্নয়নের কাজে। লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসবেন এই পুজোর মরশুমে। তাদের এতটুকু যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বুধবার পাহাড়ে পৌঁছে যান। জিটিএর চিফ এক্সিকিউটিভ অনিত থাপা ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে লালকুঠিতে দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উলগানাথন, দার্জিলিঙের জেলাশাসক ড. প্রীতি গোয়েল ও কালিম্পঙের জেলাশাসক বালা সুব্রহ্মম। মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে আগামিদিনে পাহাড়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন অরূপ। আজ বৃহস্পতিবার ভানু ভবনের প্রশিক্ষণ শিবিরেও উপস্থিত থাকবেন দুই মন্ত্রী।