রৌনক কুন্ডু কোচবিহার: ২০২৪-এর মধ্যেই ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে পরিস্রুত পানীয় জল। রাজ্যবাসী এমনটাই কথা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বহু প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে পানীয় জল। যেসব জায়গায় বাকি রয়েছে সেখানেও তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে। এবার জলসঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে চলেছে কোচবিহারের বাসিন্দারা। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কোচবিহার জেলাপরিষদের উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জল জীবন মিশন প্রকল্পে দশ কোটি টাকা ব্যায়ে এই গ্রামের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-বীরভূমের ১৪৬ গ্রামের ১২,৭১০ শিশু অন্তর্ভুক্ত আনন্দপাঠে, জেলা প্রশাসনের মুকুটে স্কচ পালক
কোচবিহার ১ ব্লকের শুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন পরে পানীয়জলের ব্যবস্থা করা হল। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জেলাপরিষদের এই উদ্যোগে খুশি গোটা গ্রামের মানুষ। কোচবিহার জেলাপরিষদের সহকারী সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে গ্রামগুলিতে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। এই শুকটাবাড়ি গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের ব্যবস্থার। এবারে জেলাপরিষদের উদ্যোগে সেই দাবি মিটতে চলেছে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে খুব দ্রুত। কোচবিহারের শুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি। বরাবর এই গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয় ঘাসফুল। বিধানসভা নির্বাচনেও এই অঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক ফলাফল এগিয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
আরও পড়ুন-রাহুল ও বুমরার ফর্ম স্বস্তি দিচ্ছে দ্রাবিড়কে
সেই গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল পানীয় জলের। এই এলাকায় জেলাপরিষদ আসনে জিতে জয়ী হন সহকারী সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ। ভোটের প্রচারে গিয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। জেতার পরে সেই কথা রাখলেন তিনি। জেলাপরিষদের সহকারী সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ আজ গিয়েছিলেন শুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জেলাপরিষদের ইঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন সরজমিনে এলাকা পরিদর্শনে।