প্রতিবেদন : জওহরলাল নেহরু নন, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর ভয়েই ব্রিটিশরা ভারত ছেড়েছিল। অনেক আগে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেস এই দাবি করেছিল। এবার সেই একই যুক্তি তুলে ধরে নেতাজির স্বীকৃতি দাবি করলেন কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক। দক্ষিণী রাজ্যের বিধায়ক বসনগৌড়া পাতিল ইয়াতনালা এক জনসভায় বলেন, নেহরু এদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নন। সুভাষচন্দ্র বসুই প্রথম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা দেশ ছাড়ে।
আরও পড়ুন-শান্তির পাহাড়ে প্রশিক্ষণের সূচনা
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেই সময় দেশের একাংশ স্বাধীন হয়েছিল। আজাদ হিন্দ বাহিনী নিজেদের মুদ্রা, পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত প্রকাশ করেছিল। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেছেন, বাবাসাহেব আম্বেদকর একটি বইতে লিখেছেন, স্বাধীনতা অনশন করে আসেনি। আমরা অন্য গাল বাড়িয়ে চড় খেয়েও স্বাধীনতা পাইনি। অন্য দিকটা দেখাতে হয়েছিল। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কারণ সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজদের মনে ভয় ধরাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য প্রশাসন, মিথ্যে অজুহাতে আজব দাবি রাজ্যপালের
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিজেপি ছেড়েছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্র চন্দ্র বসু। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখে তিনি স্পষ্ট নিয়েছিলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময়ে তিনি আশা করেছিলেন নেতাজির স্বপ্নপূরণ করবে দল। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও তেমন কিছুই ঘটেনি। এই আবহে নেহরু তথা কংগ্রেসকে তোপ দাগতে গিয়ে নেতাজি প্রসঙ্গকেই হাতিয়ার করল বিজেপি। কর্নাটকের বিজেপি বিধায়কের দাবি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। দেশের বেশ কয়েকটি জায়গা তিনি ব্রিটিশমুক্ত করেছিলেন। সেটাই ছিল প্রথম স্বাধীন ভারত।