প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য প্রশাসন, মিথ্যে অজুহাতে আজব দাবি রাজ্যপালের

অদ্ভুত অজুহাত, আজব দাবি রাজ্যপালের। এবার রাজভবনকে যথেচ্ছাচারের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করতে উদ্যোগী রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

Must read

প্রতিবেদন : অদ্ভুত অজুহাত, আজব দাবি রাজ্যপালের। এবার রাজভবনকে যথেচ্ছাচারের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করতে উদ্যোগী রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাই রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে সরিয়ে এবার রাজভবনকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। তাঁর এই ইচ্ছের কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরকে চিঠিও লিখে ফেলেছে রাজভবন। যদিও এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। রাজ্যপালের এই অন্যায় আবদারে স্বাভাবিকভাবেই বিস্মিত বিভিন্ন মহল।

আরও পড়ুন-আধার-তথ্য সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ

এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য। এর আগেই রাজভবনের সচিব, প্রেস সচিবের পদ থেকে একে একে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সরিয়ে দিয়েছেন বোস। সেখানে নিয়োগ করেছেন নিজের পছন্দের ভিন রাজ্যের আধিকারিকদের। এবার নজরদারির মিথ্যা অভিযোগ খাড়া করে কলকাতা পুলিশকেও রাজভবন থেকে সরিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে, রাজ্যপালের দফতর এবং আবাসিক অংশের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশ যেন সিআরপিএফের হাতে তুলে দেয় সেই দাবিও জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে রাজভবন। এখানে রাজ্যপালের উদ্দেশ্য খুবই পরিষ্কার। রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি যাতে রাজভবন চত্বরে উপস্থিত না থাকেন এবং রাজভবনকে যাতে যথেচ্ছাচারের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করা যায়।

আরও পড়ুন-২০০ বছর ধরে ধুমধাম করে চলছে পাতি মার মস্তকপুজো

রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের উপর নজরদারি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাজভবনে কর্মরত তিনজন পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। অদ্ভুত অজুহাত এবং অভিযোগ। ওই পুলিশ কর্মীরা নাকি রাজভবনের আবাসিক এলাকায় এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে নজরদারি চালাচ্ছেন। রাজভবনের বক্তব্য, রাজ্যপালের রেসিডেন্সিয়াল আর অফিসিয়াল এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া হোক। রাজভবন চত্বর ও অন্যান্য এলাকা কলকাতা পুলিশের নজরেই থাকবে। এতদিন পর্যন্ত রাজভবনের নিরাপত্তা ও নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্মী ও সিআরপিএফ। কিন্তু যে দু’জন পুলিশ কর্মীর গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে লালবাজারে জানানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। লালবাজারের তরফে এখনও পর্যন্ত এর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Latest article