প্রতিবেদন : এ হল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহত করার ষড়যন্ত্র। কিন্তু এভাবে তাঁকে আটকানো যাবে না। আসলে বিজেপি কতটা ভয় পেয়েছে যে, তৃণমূল কংগ্রেস বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেই তার আগে তাঁকে আটকাতে মরিয়া বিজেপি সমন পাঠাচ্ছে ভায়া এজেন্সি। এ-ক্ষেত্রেও ইডিকে দিয়ে সেই কাজই করাল বিজেপি। আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ধরনা-কর্মসূচি রয়েছে। বহু আগেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অথচ আগামী ৩ অক্টোবরই কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজির হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার ইডির তরফে সমন পাঠানো হল। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সমন পাঠানো হয়েছে অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
এর আগে নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীনও সমন পাঠানো হয়েছিল। মাত্র কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিনও ইডি ডেকে পাঠিয়েছিল অভিষেককে। এদিন ইডির সময় পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স-এ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অভিষেক লিখেছেন, এ মাসের গোড়াতেই ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিন আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিল। আজ আবার আমাকে সমন পাঠিয়েছে ৩ তারিখের জন্য। বোঝাই যাচ্ছে বিজেপি কীভাবে নিজেকে এক্সপোজ করে ফেলছে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভয় বিজেপিকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন- দিল্লি চলোর আন্দোলনের প্রস্তুতি তুঙ্গে, আজ কলকাতায় আসছেন বঞ্চিতরা
এই ঘটনায় দলের— তৃণমূলের— একের পর এক সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। দলের সাফ বক্তব্য, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রাজনৈতিক কর্মসূচির দিনে তাঁকে এভাবে ডেকে পাঠানোটা একটা সংস্কৃতিতে পরিণত করেছে ইডি। রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেই তাকে প্রতিহত করা, উত্ত্যক্ত করছে বিজেপি। সৌজন্যে ইডি। এই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এর আগে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানোয় কমিটির বাকি সদস্যরা শূন্য চেয়ার রেখে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আবার আগামী ২-৩ অক্টোবর দিল্লির বুকে বাংলার হকের টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ করতে উপস্থিত থাকার কথা অভিষেকের। ইতিমধ্যেই দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। ঠিক ৩ তারিখেই সিজিওতে আসতে বলে ইডি সমন পাঠিয়েছে অভিষেককে। একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসা ছাড়া কী বলবেন? কুণালের সংযোজন, বিজেপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে এত ভয় পেয়েছে যে মোদি-শাহ থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতাদের আক্রমণের লক্ষ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।