প্রতিবেদন : ইন্ডিয়া জোটের বিজেপি বিরোধী কর্মসূচির মাঝেই অস্বস্তির ছবি দিল্লি কংগ্রেসের আচরণ ঘিরে। একদিকে পাঞ্জাবে আপ-কংগ্রেসের (AAP- Congress) সংঘাত বাড়ছে, অন্যদিকে দিল্লিতেও শুরু হল একে অন্যের দল ভাঙার খেলা। যদিও কংগ্রেস ও আপের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলছেন, রাজ্যস্তরের এসব কাজের কোনও প্রভাব পড়বে না জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে। শুক্রবার রাজধানী দিল্লিতে ২০ জনের বেশি আপ নেতা যোগ দেন কংগ্রেসে। হাত শিবিরের তরফে এই যোগদানের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে দাবি করা হয়, আগামীদিনে আরও বহু আপ নেতা কংগ্রেসে যোগ দেবেন।
দিল্লি কংগ্রেসের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিল্লি কংগ্রেসের প্রাক্তন সচিব কুলদীপ ভাটি ও প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি মহেন্দ্র কুমার সহ ২০ জনের বেশি নেতা আম আদমি পার্টি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কুলদীপ ও মহেন্দ্র আগে কংগ্রেসে থাকলেও পরে আপে যোগ দেন। ফের তাঁদের ঘর-ওয়াপসি হল। এর আগে কংগ্রেসের দিল্লি ইউনিটের প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি দল ছেড়ে যাওয়া নেতা-কর্মীদের ফের দলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই দলবদল প্রসঙ্গে কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা জানান, এটা সবে শুরু, আগামী দিনে দল ছেড়ে যাওয়া আরও বহু নেতা আপ ছেড়ে কংগ্রেসে (AAP- Congress) যোগ দেবেন। তবে এই ধরনের পদক্ষেপ ইন্ডিয়া জোটে প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কংগ্রেস রাজধানীতে নিজেকে শক্তিশালী করতে যা যা করার তা করবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, জোট-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দলীয় হাইকমান্ড নেবে এবং আমরা তা অনুসরণ করব। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের শক্তিশালী ও পুনর্গঠিত করতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আমরা তা করব। কংগ্রেস নেতা লাভলির অভিযোগ, বিজেপি এবং আপের দ্বন্দ্বের জেরে একাধিক বড় উন্নয়ন প্রকল্প আটকে রাখা হয়েছে। বিজেপির এজেন্ডা হল সমাজে বিদ্বেষ ও ঘৃণা তৈরি করা। অন্যদিকে, উন্নয়নের সব কাজ বন্ধ করার জন্য বিজেপিকে দোষারোপ করে আপ নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। তবে পাঞ্জাবে দু’দলের এমন সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতেই ইন্ডিয়া জোটেই থাকব আমরা।
আরও পড়ুন-কাশ্মীরে দুই জঙ্গি নিকেশ করল সেনা