প্রতিবেদন : বিজেপির সমস্ত বাধা, চক্রান্ত উপেক্ষা করে তৃণমূলের ডাকে নিজেদের অধিকার ও পাওনা আদায়ে দিল্লি গেলেন বাংলার গরিব, বঞ্চিত মানুষ।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধরনা-কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। যা প্রায় আড়াই মাস আগে ঘোষণা করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। অগ্রিম অর্থ দিয়ে বুক করা হয়েছিল বিশেষ ট্রেন। শনিবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে বঞ্চিত গরিব মানুষকে নিয়ে রাজধানীর পথে রওনা হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে একেবারে শেষ মুহূর্তে বিশেষ ট্রেন বাতিল করে বিজেপি সরকার। তাতে কী! শনিবার সকাল থেকে বাসে করে দিল্লি গেলেন বঞ্চিতরা। তুমুল বৃষ্টি। আর নেতাজি ইনডোরের ভিতরে বাংলার বঞ্চিতরা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বিপুল উৎসাহ ও উন্মাদনাকে সঙ্গী করে হকের টাকা আদায়ে রাজধানী দিল্লির বুকে প্রতিবাদ-আন্দোলনের ঝড় তুলতে গেলেন কাতারে কাতারে খেটে খাওয়া মানুষ।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গি বৈঠকে এবার কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নিয়ে ৫০টি বাসের দিল্লি যাওয়ার কথা গতকালই ঘোষণা করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। এদিন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বীরবাহা হাঁসদা, তাপস রায়, শান্তনু সেন, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ নেতৃত্বরা।
ট্রেনের পরিবর্তে বাসে করেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে বঞ্চিতদের। সেই যাত্রাপথ নিয়ে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছেন বাস মালিকরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ ঘণ্টা। গোটা যাত্রা পথে ৪ থেকে ৫ বার দাঁড়াবে বাস। কোনও সমস্যা হলে বাস দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন-আজ অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
এদিকে, এই বিশাল যাত্রাপথে একটানা কোনও একজন চালক বাস চালাবেন না। তাই প্রতি বাসে দু’জন করে চালক থাকছেন। দূরত্বের কথা মাথাতে রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বাস মালিকেরা। যাত্রাপথে কোনও যাত্রীর সমস্যা হলে তৎক্ষণাৎ তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকদের সেই বিষয়ে জানানো হবে। সেইমতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হবে। কর্মসূচি-শেষে আগামী ৬ অক্টোবর দিল্লি থেকেই ফের এই বাসগুলি বঞ্চিত মানুষকে নিয়ে কলকাতায় ফেরত আসবে।