ট্রেন বাতিল হওয়ার ফলেই দলীয় কর্মীদের জন্য ভলভো বাসের (Volvo bus) ব্যবস্থা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস শিবির (Trinamul Congress)। গতকাল বাসে করেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল কর্মীরা। দিল্লিগামী বাসগুলির মধ্যে একটি বাস আজ রবিবার সকালে ঝাড়খণ্ডের কোডারমার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। বাংলা থেকে নিম্নচাপটি সরে ঝাড়খণ্ডের দিকে গিয়েছে। সেখানে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে আর তার ফলেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। কোডারমায় একটা বড় মাটির ঢিপিতে ধাক্কা মারে বাসটি। সামনের ডাম্পার ভেঙে যায়। কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর। বাসটি পুরুলিয়া হাসপাতালে গিয়েছে। বাসে ৩৩ জন তৃণমূল কর্মী ছিলেন।
আরও পড়ুন-বাংলায় ইলেকট্রিক স্কুটার কারখানার সম্ভাবনা, বিপুল কর্মসংস্থান
এই অবস্থায় সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বিমানে যাওয়া আর কর্মীদের বাসে দিল্লি যাওয়ার মধ্যে তফাৎ প্রকাশ্যে আনেন। এই সূত্র ধরেই এদিন এক্সে দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, ‘নিজেই বিষ খাওয়ায় তারপরে নিজেই ঘটা করে বিজ্ঞাপন দেয় ”চলো হাসপাতালে নিয়ে যাই”। না, আপনারা এদের রুটি রুজির টাকা আটকাতেন, না, আপনারা এদের ট্রেন বাতিল করতেন, না, এদেরকে বাসে করে এত দূরে যাত্রা করতে হত, না এই দুর্ঘটনা ঘটত। এদের প্রত্যেকটা রক্তবিন্দুর জন্য দায়ী এক এবং একমাত্র আপনারা সুকান্ত বাবু।’
রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বাস পথ দুর্ঘটনার কথা কানে যেতেই বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এক্সে লেখেন, ‘একটা ভলভো বাস কোডারমায় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। তার জেরে বহু নাগরিক জখম হয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বিলাসবহুল বিমান উপভোগ করছেন। আর নিষ্পাপ মানুষজনকে জীবনের ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এটা নিন্দাজনক। কোনও পরিষেবার দরকার হলে নিঃসংকোচে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’
আরও পড়ুন-নয়ানজুলিতে বাস উল্টে দুর্ঘটনায় আশঙ্কাজনক ১১
প্রসঙ্গত, আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। কর্মী, সমর্থকেরা দলের তরফ থেকে ভাড়া করা বিশেষ ট্রেনে করে দিল্লি যাবেন এমনই ঠিক ছিল। শনিবার সকাল ৮টায় হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। ঠিক ১৪ ঘণ্টা আগে জানা যায়, দিল্লি যাওয়ার বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারেনি রেল। শুধু তাই নয়, ট্রেনের পর বিমানও বাতিল হয়েছে। অনেক আগে থেকে টিকিট বুকিংয়ের পরও হঠাৎ করেই বাতিল হয় বিমান। রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে ভিস্তারা বিমানে বারাসত সংসদীয় জেলার ১২০ জন তৃণমূল নেতা কর্মীর দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল।