বাসুদেব ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। ছোট্ট দুটো হাত ব্যস্ত প্রতিমা গড়তে। নরম আঙুলে লেগে আছে মাটি। ঘরের মেঝেতে ছড়ানো ছেটানো ঠাকুর তৈরির সরঞ্জাম। রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ির খুদে মৃৎশিল্পী প্রসাদ মল্লিক। বয়স সবে সাত। এরই মধ্যে তৈরি করে ফেলেছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক। এবার তার হাতে তৈরি হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা। শিল্পীর মতোই আকারে ছোট্ট প্রতিমা। প্রসাদের বাবা পিন্টু মল্লিক পেশায় মৃৎশিল্পী। এলাকার বেশিরভাগ ঠাকুর তিনিই তৈরি করেন।
আরও পড়ুন-বাঙালিকে জুড়তে বড় উদ্যোগ চিকিৎসকের
তিনি নিজেও কখনও মূর্তি গড়া শেখেননি। দেখে দেখে রপ্ত করেছেন শিল্প। ছেলের প্রতিভা নিয়ে তিনি বলেন, পাঁচ বছর বয়স থেকে প্রতিমা তৈরি করতে পারে প্রসাদ। পুজোর আগে আমি যখন রাত জেগে কাজ করি তখন ও আমার সঙ্গে জেগে থাকে। ঠাকুর তৈরিতে ওর আগ্রহ দেখে অবাক হই আমরাও। তবে ভাল লাগে ওর এই আগ্রহ দেখে। নিজের ইচ্ছায় প্রতিমা তৈরি করে। ওর বন্ধুরা যখন বিকেলে খেলে বেড়ায় প্রসাদ তখন ঠাকুর তৈরির উপকরণ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রসাদ জানায়, পড়াশুনোর পাশাপাশি মাটি দিয়ে বিভিন্ন মূর্তি তৈরি করেছিলাম। এবার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছি, দীর্ঘদিন ধরে বাবার তৈরি করা প্রতিমা দেখেই আমি শিখেছি।