প্রতিবেদন : কোভিডের মারণথাবা থেকে বাঁচাতে নিরলস গবেষণা করেছিলেন। আর তারই পুরস্কার এল এবার। কোভিডের প্রকোপ থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে এমআরএনএ টিকা তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের পুরস্কৃত করল নোবেল কমিটি। ২০২৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন ক্যাটালিন ক্যারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। তাঁদের এই আবিষ্কারের ফলেই কোভিড-১৯-এর টিকা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। আর সেকারণেই তাঁদের পুরস্কৃত করা হল। কমিটি জানিয়েছে, মানুষের শরীরে অনাক্রম্যতার উপর এমআরএনএ কীভাবে কাজ করে, তা বুঝতে সাহায্য করেছে দুই মার্কিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার।
আরও পড়ুন-ডিভিসির জলে ৭ জেলা ভাসার আশঙ্কা, ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টি, নদীতীরের বাসিন্দাদের সতর্ক প্রশাসনের
গত শতাব্দীর নয়ের দশকের শুরু থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভার্সটি অব পেনসিলভানিয়ায় একসঙ্গে কাজ করা শুরু করেছিলেন ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান। এদিকে, ২০০৫ সালেই তাঁদের গবেষণার ফলপ্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। আর সেই সময় থেকেই তাঁরা কোভিডের টিকা তৈরির ভিত্তি প্রস্তুত করেছিলেন। সোমবার নোবেল কমিটির তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, দুই মার্কিন বিজ্ঞানীর গবেষণার ফলে মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন তথ্য জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এমআরএনএ কীভাবে মানবশরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে বিক্রিয়া করে সেই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন দুই বিজ্ঞানী। আর সেকারণেই দ্রুত ও ব্যাপকভাবে কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ভ্যাকসিন তৈরি করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-কুলটির যৌনকর্মীদের পুজোর থিম আমাদেরই মাটি আমাদেরই মুখ
তবে ২০০৫ সালে ক্যাটালিনা ও ওয়েইসম্যানের মৌলিক গবেষণা প্রকাশিত হয়। কোভিড অতিমারি শুরুর অন্তত ১৫ বছর আগেই কোষ ও এমআরএনএ বিভাজন ও থেরাপি নিয়ে কাজ করেছিলেন তাঁরা। পরে ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে অতিমারি শুরু হলে ভ্যাকসিন তৈরি অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। তখন কাজে আসে এই দু’জনের গবেষণা। গত বছর মানব বিবর্তন নিয়ে গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পান সুইডেনের বিজ্ঞানী সাভেনতে পাবো। তিনিও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছিলেন।