প্রতিবেদন : শেষ বর্ষার টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজ্যের একাধিক জেলা। আগামী কয়েকদিনও অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর মধ্যেই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। ফলে রাজ্যের ৭ জেলার পরিস্থিতি অবনতি ঘটতে পারে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে নবান্নের তরফে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিচু এবং বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-বৃষ্টি উড়িয়ে উপচে পড়ল পুজোর বাজার
সেইসব এলাকায় মাইকিং এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। জেলাগুলিকে পাঁচ ঘণ্টা অন্তর বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে রিপোর্ট পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। আজ থেকেই জেলায় জেলায় ও মহকুমা স্তরের কন্ট্রোল রুম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও সিভিল ডিফেন্সের টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে যে এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা, সেই অঞ্চলগুলিতে সিভিল ডিফেন্সের দল পাঠানোর নির্দেশ। ডিভিসি কত পরিমাণ জল ছাড়ছে তা প্রতিনিয়ত জেলাশাসকদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-বালোচিস্তান বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ৬০
এখনও পর্যন্ত মাইথন থেকে ৬০০০০ কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৭৩০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে সেচ দফতরকে ডিভিসি ও ঝাড়খণ্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দুর্ঘটনাগ্রস্ত তৃণমূল কর্মীদের দিল্লিগামী বাস, এক্সে সুকান্তকে নিশানা দেবাংশুর
জোড়া নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার থেকে রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় তাই সাত জেলার সঙ্গে বৈঠক সারেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে ডাকা হয় একাধিক দফতরের সচিবদেরও।