প্রতিবেদন : জাতিভিত্তিক জনগণনার কার্যকারিতা নিয়ে কংগ্রেসে মতভেদ। রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের বিরোধিতায় সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। একটি জাতির জনসংখ্যার ভিত্তিতেই তাদের অধিকার নির্ণয়ের দাবি করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। জাতিভিত্তিক জনগণনা প্রসঙ্গে রাহুলের এই মতের সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান পোষণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, যত জনসংখ্যা তত অধিকার নীতি লাগু করার আগে এর পরিণাম সম্পর্কে আগাম চিন্তাভাবনা করা উচিত।
আরও পড়ুন-পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী তিন দেশের তিন বিজ্ঞানী
কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ রাহুলের বক্তব্যের বিরোধিতা করে দলের রাজ্যসভার সাংসদ সিংভি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, সুযোগের সমতা কখনওই ফলাফলের সমতার সমান নয়। যারা ‘জিতনি আবাদি উতনা হক’ সমর্থন করে, তাদের সবার আগে এর পরিণতি পুরোপুরি বুঝতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের সমর্থনের পরিণতি ইতিবাচক নাও হতে পারে।
আরও পড়ুন-৫ অক্টোবর বিকেল ৩টেয় রাজভবন চলো
বিহারে সোমবার প্রকাশিত হয়েছে জাতিভিত্তিক জনগণনার ফলাফল। এরপরই এই জনগণনাকে সমর্থন জানিয়ে রাহুল গান্ধী জানান, জাতিগতভাবে যে জাতির জনসংখ্যা যত বেশি হবে, তার তত বেশি অধিকার থাকা উচিত। রাহুলের সেই মন্তব্যের পাল্টা সিংভির বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। একইসঙ্গে প্রকাশ্যে রাহুলের মন্তব্যের বিরোধিতায় কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বিহারে প্রকাশিত জাতিভিত্তিক জনগণনার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সে-রাজ্যের ৬৩ শতাংশ বাসিন্দাই অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত অর্থাৎ ওবিসি। এ ছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ এবং তফসিলি উপজাতিভুক্ত ১.৬৮ শতাংশ। উচ্চবর্ণের সম্প্রদায়ভুক্ত ১৫.৫২ শতাংশ। এর মধ্যে ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, কুর্মি ২.৮৭ শতাংশ, মুসাহার ৩ শতাংশ, যাদব ১৪ শতাংশ, এবং রাজপুত ৩.৪৫ শতাংশ।