দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: পুজোর সময় ডাকাতদের উপদ্রব রুখতে সেইসময় মায়ের থানে রাখা হত বন্দুক। সন্ধিপুজো শুরুর মুহূর্তে প্রতিমার চরণ থেকে বন্দুক তুলে নিয়ে ছোঁড়া হত একের পর এক গুলি। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলছে। তবে পুজো (Balurghat- Durga puja) কিন্তু হয় বৈষ্ণবমতে। সময় বদলেছে, বদলায়নি শুধু রীতি। শতাধিক বছর আগে ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম থানা এলাকার নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈদুল গ্রামের বনেদি চৌধুরি বাড়ির দুর্গোৎসবের রীতিতে আজও হয়নি বদল।
চৌধুরি বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয় ১১৩ বছর আগে প্রসন্নলাল চৌধুরির হাত ধরে। কালক্রমে সেই পুজোর জৌলুস বেড়েছে বই কমেনি। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য, ষষ্ঠী থেকে দশমী অবধি চৌধুরি বাড়ি জমে ওঠে মঙ্গলচণ্ডীর গানে। সেই গানের টানে আসেন দূরদূরান্তের মানুষ। ষষ্ঠী থেকে নবমী অবধি এখানে দেবীকে ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, মন্ডামিঠাই, ফলমূল। তবে দশমীতে দেবীকে এখানে অন্নভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। চৌধুরি বাড়ির দুর্গোৎসবে শামিল হন গ্রামের মানুষরাও। পুজোর (Balurghat- Durga puja) দিনগুলিতে গোটা গ্রাম আসে চৌধুরি বাড়ির দুর্গাপ্রতিমা দর্শনে। মেতে ওঠে উৎসবে। যেন নিজের বাড়িরই পুজো। চৌধুরি পরিবারের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় চৌরিরী জানালেন একসময়ে এলাকায় ডাকাতদের উপদ্রবের কাহিনি। অনেকসময় তারা হানা দিত পুজোর দিনগুলোতেও। তাই প্রতিরোধের বার্তা দিতেই সন্ধিপুজোর প্রদীপ জ্বালানোর মায়ের চরণ থেকে বন্দুক তুলে নিয়ে গুলি ছোঁড়ার রেওয়াজ শুরু হয়েছিল সেই সময়ে। সেই নিয়ম এখনও বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন- খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, পর্যটকদের ফেরাতে ব্যবস্থা, সিকিমে আটকে রায়গঞ্জের ২ যুবক