দক্ষিণ লোনক হ্রদ ফেটে সিকিমের (Sikkim) বুক এখন বিপর্যস্ত। হ্রদ ফাটায় হড়পা বান তিস্তা নদীতে (Teesta River) আসে। শতাধিক নিখোঁজ এবং প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। শুধু তাই নয় পর্যটকদের উদ্ধারের কাজও চলছে।কিন্তুএখানেই শেষ নয়, ফের সিকিমে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সিকিমের মানগান জেলার সাকো চো হ্রদ ফেটে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন লেকের কাছাকাছি বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে। গ্যাংটকের জেলা শাসক এ নিয়ে একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন-আর্মি মেজরের গুলিতে সেনা ছাউনিতে আহত ৬ সহকর্মী
গ্যাংটকের জেলাশাসক তুষার নিখারে এই মর্মে জানিয়েছেন, উপগ্রহের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, সাকো চো লেকের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এরপরেও তাপমাত্রা যে এতেই স্থির থাকবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে আমরা ওই লেকের আশপাশেরএলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ করে যদি সেখানে বিপর্যয় আসে তাহলে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।”
আরও পড়ুন-পঞ্জাবের অমৃতসরে ওষুধ কারখানায় আগুন, মৃত ৪
লোনাক হ্রদ, সিকিমের সুদূর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১৭,১০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। হিমালয়ের হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে এটি তৈরি হয়েছিল।জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা জারি করেছে। সিকিমের মুখ্যসচিব বিজয় ভূষণ পাঠক বলেছেন, “চেকপোস্টের তথ্য অনুযায়ী, লাচেন এবং লাচুং-এ প্রায় ৩০০০ লোক আটকা পড়েছে। ৭০০-৮০০ জন চালক সেখানে আটকে আছে। ৩১৫০ জন যারা মোটরসাইকেলে গিয়েছিলেন তারাও সেখানে আটকা পড়েছে। আমরা সেনা ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে সবাইকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।” তাছাড়া যারা লাচেন ও লাচুং-এ আটকে পড়েছেন তাদের পরিবারের সাথে ইন্টারনেটে ভয়েসের মাধ্যমে কথা বলিয়েছে সেনাবাহিনী।