সুনীতা সিং, বর্ধমান: আজও ঐতিহ্য ও নিষ্ঠার সঙ্গেই পূজিত হন দেবী। প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো কালিকাপুর জমিদারবাড়ির দুর্গাপুজো। এটি সাতভাইয়ের পুজো নামেই খ্যাত। বর্ধমান শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে কালিকাপুর রাজবাড়ি। ৪০০ বছর আগে বর্ধমান রাজার দেওয়ান ছিলেন পরমানন্দ রায়। তাঁর হাতে আসে কাঁকসার একটি বিরাট অংশের জমিদারি। জঙ্গল কেটে তৈরি হয় বসত, পুকুর, বাগান, দুর্গামন্দির। পরমানন্দ তাঁর সাতপুত্রের জন্য তৈরি করেন সাতমহলা প্রাসাদ, যা কালিকাপুর রাজবাড়ি বলে খ্যাত। এই সাতভাই একসঙ্গে পুজো করতেন বলে এই পুজো সাতভাইয়ের পুজো নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন-লাদাখে বিরাট জয় ইন্ডিয়ার, বিজেপির শেষের শুরু
মণ্ডপ তিনদিকে ঘেরা একটি আটচালা মণ্ডপ। অতীতের জৌলুসে ধুলো জমলেও রীতিনীতি রয়ে গিয়েছে একই রকম। পুজোর ১৫ দিন আগে কৃষ্ণনবমীতে ছাগবলির মধ্য দিয়ে দেবীর বোধন হয়। সপ্তমী ও অষ্টমী ও নবমীতেও ছাগবলি হয়। আগে নবমীর দিন মহিষ বলি হত। আগে ভিয়েন বসত। দেশ-বিদেশের অতিথিরা আসতেন। পুজোর কদিন পালাগান ও যাত্রাপালায় আসর সরগরম থাকত। হত অন্নকূট। আয়োজনে কিছুটা ভাটা পড়লেও আজও নিষ্ঠা সহকারে পূজিতা হন দেবী। বংশধরেরা সবাই একত্রিত হন।
আরও পড়ুন-উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী প্লাবিত এলাকায় পাঠাচ্ছেন নেতা-মন্ত্রীদের, রংপোতে ত্রাণ বিলি করলেন মন্ত্রী অরূপ
জঙ্গলে ঘেরা কালিকাপুর রাজবাড়ির আকর্ষণে এখানে এসেছেন বহু চিত্রপরিচালক। শ্যুটিং হয়েছে গয়নার বাক্স, গুপ্তধন রহস্য-র। মৃণাল সেন পরিচালিত নাসিরুদ্দিন শাহ ও শাবানা আজমি অভিনীত ‘খণ্ডহর’-এর শ্যুটিংও হয়।