সংবাদদাতা, বর্ধমান : রবিবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর দোগাছিয়ায় দলীয় সভায় কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীর সামনেই চলল বিজেপির কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতি। দলের সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়কের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ জানানো থেকে চলে এই হাতাহাতির ঘটনা। ফলে দ্রুত সভা শেষ করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। নেতাদের গালিগালি করে দুর্দিনে দলের কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। চেয়ার ছেড়ে উঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হাত নেড়ে কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও বিক্ষোভ কমেনি।
আরও পড়ুন-পাক ম্যাচে কমলা জার্সিতে রোহিতরা, জল্পনা ওড়াল বিসিসিআই
উত্তপ্ত পরিবেশে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে বৈঠক শেষ করে বেরিয়ে যান মন্ত্রী। লোকসভাভিত্তিক কাটোয়া জেলার নেতাদের নিয়ে রায়না থেকে বিকেল পাঁচটা নাগাদ মন্ত্রী চলে আসেন সভাস্থলে। তাঁর সঙ্গে কাটোয়া জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্য নেতারা সভাস্থলে ঢুকেও পড়েন। তারপরেই জামালপুরের একটি মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি অভিজিৎ ঘোষালের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মন্ত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা দুর্দিনে কর্মীদের খোঁজ নেওয়া হয় না, পুরনো কর্মী-নেতাদের চক্রান্ত করে বর্তমান কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি অভিযোগ করতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা সভাস্থলে ঢুকতে গেলে কয়েকজন বাধা দেন।
আরও পড়ুন-অব্যবস্থায় হোটেলেই প্রস্তুতি বাংলার
রাস্তার উপরেই বাদানুবাদ, ঠেলাঠলি হতে থাকে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকেরা তাঁদের সরিয়ে দেন। পরে কয়েকজন বিক্ষোভকারী সভাস্থলে ঢুকে জামালপুরের দলের দুই নেতার নাম করে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁদের মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। সভাস্থলের ভিতরেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে মন্ত্রী দু’পক্ষকেই শান্ত হওয়ার কথা বললেও কেউ কান দেয়নি। তখন মন্ত্রী মাইক হাতে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমরা তো এসেছি। আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। নেতৃত্বকেও জানাব।’ তবে উত্তপ্ত পরিবেশে ১৫ মিনিটের বেশি বৈঠক করেননি মন্ত্রী। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুনলাম ১০০ দিনের টাকা না দেওয়া নিয়েই নাকি মন্ত্রীর সামনে বিজেপির নেতা-কর্মীরা হাতাহাতি করেছে। পুরো ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।