গত ৪ অক্টোবর তিস্তার তাণ্ডবে সিকিম (Sikkim) নেমে এসেছে ভয়াবহ দুর্যোগ। তছনছ হয়ে গিয়েছে ছোট রাজ্যটি। বহু মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সেই অভিশপ্ত দিনে। সেনার ২৩ জওয়ান সহ ট্রাক জলে তলিয়ে যায়। সেনার গোলা ও যুদ্ধ সরঞ্জামও ভেসে গিয়েছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তিস্তা থেকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনেকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মেয়র পারিষদের প্রস্তাব গেল নবান্নে, বাড়ছে কলকাতা পুর-এলাকা
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিকিমে ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হড়পা বানে ভেসে গিয়ে অনেকেরই দেহ পশ্চিমবঙ্গ, এমনকী বাংলাদেশে চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মোট ৮২ জনের মৃত্যু এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে। রবিবার মোট ২৭টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন-সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগ আরও ৪৪০০ কোটি, গড়ে উঠছে ৬৬০ মেগাওয়াটের ৫ম ইউনিট
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাঙের প্রেস সচিব বিকাশ বসনেট এই বিষয়ে জানান, এখনও ১৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মোট মৃতের সংখ্যা নির্ধারণ করতে সমস্যা হচ্ছে। তিস্তার অনেক শাখা নদীতেও দেহগুলি চলে গিয়েছে। সেগুলি উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খণ্ডভালে উমেশ গণপত এই বিষয়ে জানান, ‘গত তিনদিনে জলপাইগুড়ি জেলায় ৪০টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তিস্তা নদী থেকে। এর মধ্যে ১০ জনকেই এখও পর্যন্ত শনাক্ত করা গিয়েছে। মৃতদেহগুলির মধ্যে ৬টি সেনাকর্মীদের। বাকি চারজন সাধারণ মানুষের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এখনও পর্যন্ত।’
আরও পড়ুন-আজ চে-কে বড্ড মনে পড়ে
কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘কোচবিহারের নদী থেকে এখনও পর্যন্ত ৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশেও চারটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশে যেসব মৃতদেহ চলে গিয়েছিল, সেগুলি কোচবিহার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’