প্রতিবেদন : কামদুনি (Kamduni Case) নিয়ে সস্তার রাজনীতি ও নাটক করছে বিরোধীরা। কামদুনি মামলায় গত সপ্তাহে রায়দান করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য। তারপরেও কামদুনির মানুষের সেন্টিমেন্টকে উসকে দিয়ে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিজেপি-সিপিএমের রামধনু জোট।
রাজনীতির হাওয়া গরম করতে কামদুনি নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতায় মিছিল করে গদ্দার অধিকারী। হাইকোর্টের রায়কে সামনে রেখে কামদুনির (Kamduni Case) মানুষকে কার্যত খেপিয়ে তুলতে চাইছে বিরোধীরা। এই মিছিলে গদ্দারের সঙ্গে ছিলেন সিপিএম নেত্রী রমলা চক্রবর্তীও। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘কামদুনির প্রকৃত দোষীদের আমরা শাস্তি চাই। তবে শাস্তির বিষয় নির্ভর করে আদালতের উপর। নিম্ন আদালত ফাঁসি দিয়েছিল। উচ্চ আদালতে তা বদল হয়েছে। আর এরা যেভাবে রাস্তায় নামল, তাতে বুঝিয়ে দিল রায় পছন্দ না হলেই রাস্তায় নামা যায়। এরা যেন পরে তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষ না দেয়। আদালতে রায় বদলালে তৃণমূলের কী করার আছে? রাজ্যের যা করার ছিল তা করেছে। রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে।’’
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এদিন মনে করিয়ে দেন, বাম আমলে কী কী হয়েছিল ধানতলা, বানতলায়? সেই সিপিএম এখন বড় বড় কথা বলছে৷ ধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্তদের আইনজীবী হলেন ফিরোজ এডুলজি। তিনি বিজেপির হয়ে মামলা লড়েন। ইডির হয়ে সওয়াল করেন। তিনি এবার কী করছেন? তিনি তো ধর্ষণে অভিযুক্তদের পক্ষেও সওয়াল করেছেন।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠক
তাঁর সাফ কথা, ‘‘এই মিছিলের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই৷ সস্তার রাজনীতি করছে ওরা। যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে তখন শুভেন্দু তৃণমূলের সাংসদ। তারপর হাত বাড়িয়ে মন্ত্রী। পরিষ্কার কথা, ঘটনা অত্যন্ত খারাপ। এই রায় নিয়ে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। তারপরে শুভেন্দুর এই মিথ্যাচার অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। সরকার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। কিন্তু শুভেন্দু আগে বলুক, ফিরোজ এডুলজি কী করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দল ও প্রশাসন মনে করেছে এই রায় চ্যালেঞ্জ করার মতো। তাঁরা সেটাই করেছেন।’’