প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার (West bengal Governemnt) জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের আওতাভুক্ত সমস্ত কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনতে চলেছে। এর ফলে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে রাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অন্তর্গত বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচি রূপায়ণের কাজে যুক্ত ২২ হাজারের বেশি অস্থায়ী চিকিৎসক, আধিকারিক, কর্মী ও তাঁদের পরিবার উপকৃত হবেন।
প্রস্তাবিত প্রকল্পে পথ দুর্ঘটনার পাশাপাশি অসুখ-বিসুখে সাধারণ মৃত্যুতেও পরিবারকে আর্থিক সুবিধা, অঙ্গহানিতে আর্থিক সুবিধা, ন্যূনতম খরচে স্বাস্থ্যবিমা করে দেওয়া বা কারও বিমা থাকলে তার ‘টপ আপ’ করে দেওয়া সহ একাধিক সুবিধা দেওয়া হবে। ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথভাবে এই কর্মসূচি রূপায়িত হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই প্রকল্পের এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট বা ইওআই জারি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দীপাবলির পর নয়া প্রকল্প চালু করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন- কামদুনি নিয়ে সস্তার রাজনীতি করছে গদ্দার, ধুয়ে দিল তৃণমূল
রাজ্যে (West bengal Governemnt) স্বাস্থ্য দফতরের মাধ্যমেই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজ হলেও ওই প্রকল্পের কোনও চিকিৎসক বা কর্মী বিপদ-আপদে বিভাগীয় সামাজিক সুরক্ষা বা চাকরিজনিত সুবিধা পান না। এই অস্থায়ী কর্মীদের অনেকেরই পথ দুর্ঘটনা বা অসুখ-বিসুখে মৃত্যু হচ্ছে। অঙ্গহানির ঘটনা ঘটেছে বহুক্ষেত্রে। কিন্তু কানাকড়িও মিলছে না দফতর থেকে। আয়ূষ মেডিক্যাল অফিসার্স আরবিএসকে অ্যাসোসিয়েশন সহ এনএইচএম-এর অসংখ্য কর্মী ও চিকিৎসক সংগঠন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালুর দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন। বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, প্রকল্প অধিকর্তা (এনএইচএম) সহ একাধিক শীর্ষকর্তাকে। অবশেষে উপকৃত হতে চলেছেন এনএইচএম। এনএইচএম সূত্রের খবর, এই বিশাল সংখ্যক কর্মীকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনতে বেশ কয়েকমাস ধরে পরিকল্পনা চলছিল। অন্যান্য রাজ্যগুলি অস্থায়ী কর্মীদের কীভাবে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে আনছে, তাও দেখে এসেছেন রাজ্যের কর্তারা। দফতর সূত্রের খবর, বর্তমানে ২২ হাজার এনএইচএম কর্মীর মাসিক ভাতা জমা পড়ে তাঁদের অ্যাকাউন্ট নম্বরে। দফতরের স্থির করে দেওয়া কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক নয়, যার যেখানে অ্যাকাউন্ট আছে সেখানেই টাকা জমা পড়ে। এই প্রথম রাজ্য এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুযোগসুবিধা প্রদানকারী ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে। সেই জন্য সোমবার ইওআই চাওয়া হয়েছে। এভাবে নির্বাচিত ব্যাঙ্কেই জমা পড়বে সমস্ত এনএইচএম কর্মীর ভাতা বাবদ বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।