প্রতিবেদন : টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুতেই এমন বিপর্যয় ঘটবে, ভাবতে পারেননি সুনীল গাভাসকর। পাকিস্তানের কাছে বিরাটবাহিনীর লজ্জার হারে হতাশ কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান। সানি বলে দিলেন, ‘‘এটা শুধু হার নয়, হাতুড়ির আঘাত। পর্যুদস্ত ভারত।’’ তবে তিনি আশাবাদী বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে। রবিবার রাতে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া। বিরাটদের লজ্জার হারকে হজম করতে কষ্ট হচ্ছে গাভাসকরের। তবু মেগা টুর্নামেন্টে ভারতীয়রা দারুণভাবে ফিরে আসবে বলেই মনে করছেন সানি। বললেন, ‘‘এই ভারতীয় দল এর থেকেও কঠিন পরিস্থিতি থেকে কামব্যাক করেছে। এবারও আশা করি ওরা টুর্নামেন্টে ফিরে আসবে। ৩১ তারিখ ভারত খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। পাকিস্তান ম্যাচ ভুলে দ্রুত নিজেদের জায়গায় ফিরতে হবে। এই ম্যাচে কী হয়েছে, তা ভুলে পরের ম্যাচগুলিতে ফোকাস রাখতে হবে। এটাই এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
আরও পড়ুন-‘শুধু বাংলা নয়, দেশকে পথ দেখাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, দিনহাটায় আত্মবিশ্বাসী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে জাহির খান বলছেন বুমরাকে শুরুতেই দরকার ছিল। জসপ্রীত বুমরা ভারতীয় বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র। অথচ, হাতের টেক্কাকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এমনটাই মনে করছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পেসার জাহির খান। তাঁর সঙ্গে একই মত পোষণ করেছেন আর এক প্রাক্তনী ভিভিএস লক্ষ্মণ। দু’জনেই মনে করেন, দলের সেরা বোলারকে বুদ্ধি করে কাজে লাগানো উচিত।
দীর্ঘ দিন ভারতীয় দলের প্রধান স্ট্রাইক বোলারের দায়িত্ব পালন করেছেন জাহির। বাবরদের কাছে বিরাট বাহিনীর লজ্জার হারের পর প্রাক্তন স্পিডস্টার বলেছেন, ‘‘বুমরাকে দিয়ে বোলিং ওপেন করা উচিত। ওর মতো বোলারকে কখনও তৃতীয় ওভারে আক্রমণে আনা উচিত নয়। ট্রাম্প কার্ড বুমরা কেন দেরিতে বোলিং করতে আসবে?’’ এরপর জাহিরের সংযোজন, ‘‘ম্যাচের আগে পরিকল্পনা তৈরি থাকবে। মাঠে নেমে তা কার্যকর করতে হবে। অবশ্যই কিছু জিনিসের বদল ঘটবে, সেটাও প্ল্যান-বি হিসেবে তৈরি রাখা উচিত। এমনও হতে পারে বুমরাকে একটু আলাদাভাবে ব্যবহার করার প্ল্যান থাকল। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এমনটা যেন মনে না হয় যে, দলের সেরা বোলারকে কাজে লাগানোই হল না। তাই সেরা অস্ত্রকে তৃতীয় ওভারে না এনে প্রথম ওভারেই আক্রমণে আনা উচিত।’’ লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘‘বুমরাকে পাওয়ার প্লে-তে কাজে লাগানোই হল না। দলের সেরা পেসারকে আরও বুদ্ধি করে ব্যবহার করে দুই পাক ওপেনারের উপর শুরু থেকে চাপ বাড়ানোর কৌশল নেওয়া যেত।’’