প্রতিবেদন : নারী সুরক্ষার নিরিখে চরম খারাপ অবস্থা বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। রোজই কোনও না কোনও খারাপ ঘটনার মানদণ্ডে শিরোনামে থাকে যোগীরাজ্য। গণধর্ষণ ও দলিত-সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে লাগামছাড়া। এবার বরেলিতে এক স্কুলপড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ফের তোলপাড়। শুধু গণধর্ষণই নয়, নাবালিকার উপর চরম অত্যাচার চালিয়ে তাঁকে স্থানীয় একটি রেলওয়ে ক্রসিংয়ের সামনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় নাবালিকাকে যোগীরাজ্যের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নির্যাতনের জেরে নাবালিকার হাঁটু থেকে দুটি পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাদ গিয়েছে নাবালিকার একটি হাতও। ঘটনার অভিঘাত শিউরে ওঠার মতো।
আরও পড়ুন-উৎপাদন বাড়াতে পঞ্চায়েতের সাহায্য নেবে মৎস্য দফতর
বুধবার পুলিশের কাছে নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, সতেরো বছরের নির্যাতিতাকে গণধর্ষণের পর যখন সে একটি হাত ও দুটি পা হারিয়ে জীবনযুদ্ধে বাঁচার জন্য প্রাণপণ লড়াই চালাচ্ছে তখনও তাঁর রেহাই মেলেনি। রেলওয়ে ক্রসিংয়ের কাছে মেয়েটিকে ফেলে দেওয়ার পরও গণধর্ষণের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নাবালিকার পরিবারের আরও অভিযোগ, বর্তমানে মেয়েটির শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর চোট লেগেছে এবং বেশ কয়েকটি অঙ্গ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। এমন নিন্দনীয় ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মুখ পুড়েছে যোগী সরকারের। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার জেরে চারজন পুলিশ আধিকারিককেও সাসপেন্ড করে মুখ বাঁচাতে ময়দানে নেমে পড়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন-কোদালিয়ার বাড়ির পুজোতেও আসতেন স্বয়ং নেতাজি
এবার দোষীদের বিরুদ্ধে ফের নতুন অভিযোগ সামনে এনেছে নির্যাতিতার পরিবার। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ একবারও গ্রামে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করেনি। মঙ্গলবার ওই নাবালিকা প্রাইভেট টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছিল। তখন তাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একদল যুবকের বিরুদ্ধে। অত্যাচারের পর নাবালিকাকে খাদায়ু রেল ক্রসিংয়ের কাছে ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। সেইসময় নাবালিকার দুই পা ও হাত থেকে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় নাবালিকাকে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, নাবালিকার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। ইতিমধ্যেই তার হাঁটুর নিচে থেকে দুটি পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাদ গিয়েছে তাঁর একটি হাতও।