সংবাদদাতা, কাটোয়া : বিছানায় শুয়ে আধো ঘুমে আধো জাগরণে রেডিওয় মহালয়া শোনার আমেজই আলাদা। তাই প্রত্যেক বছর মহালয়ার মুখে কদর বাড়ে রেডিও মেকানিকদের। টিভি, স্মার্টফোন-সহ বিনোদনের নানা অত্যাধুনিক সরঞ্জামের ভিড়ে রেডিওর দিন ফুরিয়েছে। তবে আশ্বিনের শারদপ্রাতে আলোর বেণু বাজার প্রাক্-মুহূর্তে অনাদরে পড়ে-থাকা রেডিওর কদর বাড়ে। ধুলো ঝেড়ে তাকে সচল করতে যেতে হয় রেডিও-ডাক্তারের কাছে। এখন রেডিও সারানোর লোক হাতেগোনা।
আরও পড়ুন-উৎসবের দিনে মানুষের পাশে যুব তৃণমূল কর্মীরা, হাওড়ার পথে অভিষেকের দূত
কাটোয়া শহরের আছেন একজন— মাধবীতলা রোডের বছর তিয়াত্তরের শিশির ঘোষ। বললেন, ‘রেডিওর শ্রোতা কমেনি। তবে মহালয়ার সময় বেচাকেনা, মেরামতি ভালই হয়।’ শুধু কাটোয়া শহর বা মহকুমা এলাকাই নয়, শিশিরবাবুর ৬৭ বছরের পুরনো ‘বান্ধব রেডিও স্টোর্সে’র খরিদ্দার লাগোয়া বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলারও। বিক্রি ও মেরামতির ফাঁকে ফাঁকে রেডিওর ইতিবাচক দিকগুলি বলেন তিনি। প্রতিবেশীদের দাবি, নীরব হয়ে যাওয়া রেডিওকে কথা বলাতে জুড়ি নেই শিশিরবাবুর।
আরও পড়ুন-মোদি জমানায় ভুয়ো বিজ্ঞানের রমরমা
পঞ্চাননতলার তপন মণ্ডল বা কালনার চকবাজারের নিতাই দত্তদের মতো গুটিকয় আজও রেডিও নিয়ে থাকলেও অনেকে পেটের টানে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন। মৃত্যুর এত বছর পরেও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, বাণীকুমার ও পঙ্কজ মল্লিকের অমর মহাকাব্য মহালয়াকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই রেডিও-ডাক্তাররাই।