প্রতিবেদন : বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আক্রমণ করে যাঁরা বলেছিলেন এই রাজ্যে দুর্গাপুজো হয় না, আজকে তাঁরাই বাংলায় পুজো উদ্বোধন করতে আসছেন। এটাই বাংলার দুর্গাপুজোর ঐতিহ্যের জয়। এভাবেই শনিবার ‘জাগোবাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশের মঞ্চ থেকে নাম না করে বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ছোটবেলায় দেখতাম সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী— এই চারদিন ছিল পুজো। দল বেঁধে ঠাকুর দেখা, মণ্ডপে ঘোরা, সবাইকে নিয়ে আনন্দ ভাগ করে নিয়ে উৎসবে শামিল হত মানুষ। কিন্তু বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর উৎসবের আবহটাই পুরো বদলে গিয়েছে। আমাদের নেত্রী বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বাংলা প্রমাণ করেছে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে উৎসব সবার। এভাবেই মানুষ সব বিভেদ ভুলে উৎসবে শামিল হয়েছে, আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে। রাজ্য সরকারের সক্রিয় উদ্যোগেই আমাদের দুর্গাপুজো আজ গোটা বিশ্বের স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২১ সালে আমাদের প্রিয় দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। অভিষেকের সংযোজন, আমি সবার কাছে অনুরোধ করব, পুজোর এই পাঁচ থেকে সাতটা দিন আপনারা সবাই দল-জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভুলে আনন্দে মেতে উঠুন। মহালয়ার এই দিনে সবাই আসুন, আমরা সকলে মিলে মায়ের কাছে প্রার্থনা করি— মা, বাংলায় অশুভ শক্তির বিনাশ হোক, শুভ শক্তি জেগে উঠুক। এরপরই সংস্কৃত শ্লোক পাঠও করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জাগোবাংলার পুরো টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক হয়েছে জাগোবাংলা। এই লড়াইটা সহজ ছিল না। আপনারা পাশে থাকায় এই লড়াইটা অনেক সহজ হয়েছে। জাগোবাংলায় আমরা এক টাকারও বিজ্ঞাপন নিই না। এভাবেই আপনাদের আশীর্বাদে এগিয়ে যাচ্ছে জাগোবাংলা।
আরও পড়ুন- জাগোবাংলা উৎসব সংখ্যা প্রকাশ, জয়ী ব্যান্ডের গানে মাতলো মঞ্চ