রাখি গড়াই, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার পাঁচমুড়ার টেরাকোটার ঘোড়া অনেক আগেই বিশ্বজয় করেছে। এবার শুরু হয়েছে সৌখিনদ্রব্যের বিশ্বজয়ের পালা। পোড়ামাটির শঙ্খ জিতেছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। এবার এইসব শৌখিন জিনিসে সাজবে উত্তরবঙ্গ থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্য, এমনকী দিল্লির মণ্ডপও। পাঁচমুড়ায় গিয়ে দেখা গেল মৃৎশিল্পীদের ঘরে ঘরে এখন চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। গ্রামের ৮২টি কুম্ভকার পরিবারের প্রায় সকলেই টেরাকোটার টাইলস প্যাকিং করে পাঠাচ্ছেন ভারতবর্ষের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তের পুজোর কর্মকর্তাদের কাছে।
আরও পড়ুন-ইজরায়েলে হামলা হবে, আগেই জানিয়ে দেয় মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা!
পেশায় প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী বিশ্বনাথ কুম্ভকার জানান, করোনা অতিমারির পর এবার পুজোয় টেরাকোটার দুর্গামূর্তির বরাত না পেলেও টেরাকোটার মণ্ডপসজ্জার উপকরণের চাহিদা গোটা দেশে তুঙ্গে। এবার দিল্লির বাঙালি ভবনের একটি মণ্ডপে শ্যামরাই টেম্পলের আদলে মণ্ডপসজ্জা হবে। তার জন্য টেরাকোটার টাইলস সবে দিল্লি পাঠালাম। এছাড়াও শিলিগুড়ির সুব্রত সংঘের মণ্ডপ সাজবে টেরাকোটার পুতুল, মনসা ঝাড়-সহ অন্যান্য ডেকোরেটিভ আইটেমে। সেগুলিও আজই শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। একইরকম মণ্ডপসজ্জার উপকরণ পাঠাতে ব্যস্ত জগন্নাথ, বুদ্ধদেব, বাবলু, চণ্ডীদাস, সন্তু, মহাদেব, ভুতুনাথ ও ব্রজনার কুম্ভকাররা। এঁরা সকলেই কোনও না কোনও সময়ে জাতীয় স্তরে পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন-আরাফতের মৃত্যুর পরই ফাতাহকে টপকে যায় হামাস
কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা ও ভিনরাজ্যে মণ্ডপ টেরাকোটার সামগ্রীতে সাজানোর বরাত পেয়েছেন। দেখা গেল, কুমোরপাড়ার গৃহবধূরাও এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী সুতপা দেবী জানান, রবীন্দ্রনাথের কবিতা আজ ইতিহাস, কুমোরপাড়ায় আর গরুর গাড়ি নেই। লরিতে করেই টেরাকোটার জিনিস পৌঁছে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে।