প্রতিবেদন : সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের নজরদারির চেষ্টা মোদি সরকারের। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মেসেজ (WhatsApp messages) পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রথম প্রেরক সম্পর্কে তথ্য পেতে আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রের প্রস্তাব, এবার থেকে কোনও নির্দিষ্ট বার্তার ক্ষেত্রে প্রথম প্রেরক সরকারকে জানাতে বাধ্য থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, আইন অনুযায়ী কোনটি ভুয়ো খবর তা স্থির করে দেবে সরকারের তথ্যানুসন্ধানী বিভাগ এবং পরে সেটির ভিত্তিতে মেসেজ অ্যাপ থেকে প্রথম প্রেরকের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। অর্থাৎ এই আইন আসলে ঘুরপথে কেন্দ্রের সমালোচকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টাই।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বক্তব্য মেটাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও মেটা এ-ব্যাপারে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করবে। কেন্দ্রের বক্তব্য, কোনও ভাইরাল ছবি, ভিডিও বা তথ্যের ক্ষেত্রে তার প্রথম প্রেরকের নাম, পরিচয় জানাতে হবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে। কেন্দ্রের যুক্তি, এক ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও সম্পাদনার মাধ্যমে অন্য ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরে ছড়িয়ে দেওয়ার যে প্রবণতা বেড়েছে, তা রুখতেই এই পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের কথায়, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিকে ব্যবহার করে ভুয়ো ছবি, ভিডিও পাঠিয়ে সেগুলিকে ভাইরাল করা আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রবণতা থামাতে সেগুলির মূল উৎস জানা দরকার এবং এই প্রবণতা থামানো প্রয়োজন।
অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপের তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকারের এই বিধি গ্রাহকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা লঙ্ঘন করবে। কংগ্রেস মুখপাত্র শামা মহম্মদ বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp messages) কর্তৃপক্ষ আদালতে জানিয়েছে, এটা তাদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিধি ভঙ্গ করবে। সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করতে মোদি সরকারের আরও একটা কঠোর পদক্ষেপের দৃষ্টান্ত এটি।