অক্টোবর মাসের প্রথমে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নয়াদিল্লিতে (New Delhi) বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছিল। এই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানেই শেষ নয়, কলকাতায় ফিরে রাজভবনের সামনে মঞ্চ বেঁধে ধর্নায় বসেন তিনি। অবশেষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘বঞ্চিতদের’ চিঠি। আজ, বুধবার বজবজের বস্ত্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানান, ‘৬ মাসের মধ্যে টাকা আদায় করব। না হলে বাংলার সরকার আপনাদের টাকা দেবে। দীপাবলির পর রাজনৈতিক লড়াই শুরু হবে।’
আরও পড়ুন-জালাউনে সম্মেলনে বিজেপি মহিলা কর্মীদের হাতাহাতি
প্রসঙ্গত, এই বছর বিজেপি নেতারা কলকাতায় দুর্গাপুজোতে যোগ দিচ্ছেন। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতায় এসে দুর্গাপুজো উদ্বোধন করেছেন আর এই নিয়ে তাঁকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে দুর্গাপুজো নিয়ে বিজেপি বলেছিল বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না। তাদেরকেই বাংলায় সুড়সুড় করে এসে দুর্গাপুজো উদ্বোধন করতে হচ্ছে। ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছে।’ অমিত শাহ চলে যেতেই এবার আসছেন জেপি নাড্ডা।
আরও পড়ুন-ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বেঙ্গালুরুর করমঙ্গল এলাকায় এক বহুতলে, ছাদ থেকে ঝাঁপ ব্যক্তির
এদিন ইডি–সিবিআই নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিরাগত প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘বাংলার মানুষ কোনওদিন বহিরাগতদের কাছে আত্মসমপর্ণ করেনি, আগামিদিনেও করবে না। যে পাশে থাকবে, তাকেই ভোট দিন। অনেক চেষ্টা হচ্ছে, বাংলাকে ভাতে মারার! তৃণমূলকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। গায়ের জোরে মোদী সরকার আপনার টাকা আটকে রেখেছে’।
আরও পড়ুন-পঞ্চমবার জাতীয় পুরস্কার পেলেন শ্রেয়া ঘোষাল
তিনি বলেন, ‘মানুষ যাঁর সঙ্গে থাকে, পৃথিবীর কোনও শক্তি তাকে পরাজিত করতে পারে না, তাঁকে কেউ হারাতে পারে না। কোন কুৎসা, কোনও চক্রান্ত, কোনও ষড়যন্ত্র, কোনও স্বৈরাচারী শক্তি, কোনও দানব কোন অশুভ শক্তি তার পিছনে লেগে, তার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারে না। অন্য রাজনৈতিক দল যাঁরা আমাদের সঙ্গে লড়াই করছে, তাদের কাছে সব আছে, টাকা-পয়সা, অর্থবল, ক্ষমতা, কেন্দ্রীয় এজেন্সি, মিডিয়া, ইনকাম ট্যাক্স, ইলেকশন কমিশন। তৃণমূলের কাছে কিছুই নেই, শূন্য। খালি মানুষ আছে’।