সঞ্জিত গোস্বামী, পুরুলিয়া: ঐতিহ্যের টানেই মানুষ আসেন এখানে। দেড় হাজার বছর ধরে দেবী দুর্গা পুজো পাচ্ছেন এখানে। এখন ভেঙে পড়ছে মন্দির। জঙ্গলের মধ্যে তবু যেন ডাক দেয় ইতিহাস। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়তলির দেউলঘাটায় সপ্তম শতাব্দীর কালো কষ্টিপাথরে খোদিত দেবীমূর্তি পুজো পান। মূর্তিতে রয়েছেন দুর্গা, মহিষাসুর, মহিষ ও সি়ংহ। আমরা যে মৃন্ময়ী প্রতিমার পুজো করি, সেখানে দেবীর দক্ষিণ পদ থাকে সিংহের উপর, বাম পদ মহিষের উপর। দেউলঘাটার শিলামূর্তিতে দেবীর দক্ষিণ পদ মহিষের উপর বাম পদ সিংহের উপর।
আরও পড়ুন-ডিআরএসে স্বচ্ছতা চাইছেন ওয়ার্নার
এখন পুজো হয় অনাড়ম্বর ভাবে। তবে অযোধ্যা পাহাড়ে আগত পর্যটকদের ভিড়ে জমে ওঠে ইতিহাসের গন্ধমাখা এই পুজো। ইতিমধ্যে শেষবেলার প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। ভারতবর্ষে যে ক’টি পোড়ামাটির তৈরি প্রাচীন মন্দির এখনও টিকে আছে তার মধ্যে দেউলঘাটার তিনটি মন্দির (এখনও অবধি টিকে থাকা) প্রাচীনতম। কংসাবতী নদীতীরে জয়পুর-আড়ষা থানার সীমানায় অবস্থিত এই মন্দিরক্ষেত্র এক সময় জঙ্গলমহলের অন্যতম বাণিজ্যবন্দর ছিল। কালের গর্ভে এখানকার অন্তত চারটি মন্দির নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। টিকে আছে তিনটি মন্দির। সেখানেই রয়েছে প্রাচীনতম দুর্গামূর্তিটি।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপে ছোট-বড় বলে কিছু হয় না, দাবি বিরাটের
এই মন্দিরক্ষেত্রে দীর্ঘদিন থাকা সাধিকা তনুশ্রী মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার যেভাবে অযোধ্যা পাহাড়ের উন্নয়ন করেছে, তাতে প্রচুর পর্যটক আসছেন এখানে। আর তাঁরাই ভিড় করেন এই পুজোয়। আধুনিক প্যান্ডেল, ঝকমকে আলো না থাকলেও তাই এখানে মানুষের অংশগ্রহণ প্রশ্নাতীত। দেবীর পুজোও অন্য মাত্রা পায়।