রাখি গরাই, ইন্দপুর: বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে যে কয়েকটি সর্বজনীন দুর্গাপূজো হয় তার মধ্যে অন্যতম ব্রাহ্মণডিহা গ্রামের দুর্গাপূজা। স্বাধীনতার পরের বছর গ্রামের কিছু যুবক পার্শ্ববর্তী এক গ্রামে দুর্গাঠাকুর দেখে ফিরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে গ্রামে দুর্গাপুজোর আবদার করে। তাদের কথামতো ১৯৪৯ সালে গ্রামে পুজোর সূচনা হয়। সেই পুজোর এবার ৭৫ বর্ষপূর্তি। স্বভাবতই পুজো ঘিরে তাই বাড়তি উন্মাদনা গ্রামের মানুষদের মধ্যে। প্রতিমার কাজ শেষ, মণ্ডপজুড়ে টাঙানো হয়েছে বাহারি শামিয়ানা।
আরও পড়ুন-প্রবীণদের ঠাকুর দেখাবে পুলিশ
প্রথম থেকেই এখানে মায়ের একচালা সাবেকি মূর্তি। তবে এবছর একচালার পরিবর্তে মহিষাসুরমর্দিনী মা এবং গণেশ-কার্তিক-লক্ষ্মী-সরস্বতী সকলের মূর্তি আলাদা হলেও সাবেকিয়ানায় কোনও পরিবর্তন হয়নি। প্রথম থেকেই কালিপদ ও প্রহ্লাদ কুম্ভকার মূর্তি গড়তেন। এখন তাঁদের বংশধররা সেই কাজ করেন। সপ্তমীর দিন নবপত্রিকার স্নানযাত্রায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। মনস্কামনা পূরণ হলে দণ্ডি কাটেন অনেকেই। মহাষ্টমীতে চালকুমড়ো ও আখবলি-সহ সন্ধিপুজো হয়। এবার ৭৫ পূর্তির মহোৎসব ঘিরে সপ্তমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পালাকীর্তন, বাউলগান, গ্রামীণ যাত্রাপালা।
আরও পড়ুন-ভারতের প্রাচীনতম কষ্টিপাথরের দুর্গারপুজো অযোধ্যা পাহাড়ের দেউলঘাটায়
মহানবমীতে হবে নারায়ণ সেবা। পুজো কমিটির সম্পাদক বিবেকানন্দ পাত্র জানান, এই পূজা ব্রাহ্মণডিহা সর্ব ষোলোয়ানার পুজো। গ্রাম্য ষোলোয়ানাই সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করে। জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে গ্রামের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমানভাবে অংশ নেন। রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদান বাবদ ৭০ হাজার টাকার চেক পেয়ে যাওয়ায় মহোৎসব সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলতে সুবিধা হবে।