কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni case- Supreme Court) চার দোষীকে কলকাতা হাই কোর্ট ফাঁসি এবং যাবজ্জীবনের সাজা থেকে রেহাই দিয়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্তদের ওপর আরপ করল একাধিক শর্ত। কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য-কামদুনির প্রতিবাদীরা। সেই ইস্যুতেই বৃহস্পতিবার শর্ত আরোপ করল সুপ্রিম কোর্ট।
কী কী শর্ত দিল সুপ্রিম কোর্ট
- রাজারহাট পুলিশ স্টেশন এলাকার বাইরে যেতে পারবে না অভিযুক্তরা।
- নিজেদের বাড়ির ঠিকানা পুলিশকে জানাতে হবে। থাকার জায়গা বদল করলে তাও জানাতে হবে পুলিশকে।
- প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার রাজারহাট থানায় হাজিরা দিতে হবে অভিযুক্তদের।
- যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করবে অভিযুক্তরা তা থানায় লিখিতভাবে জানাতে হবে। পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
- কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না।
- এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে নিজেদের জড়ানো যাবে না।
আরও পড়ুন-ফুটপাথের ওপর উঠল গাড়ি, পিষে দিল ৫ জনকে
২০১৩ সালে কামদুনিতে (Kamduni case- Supreme Court) কলেজছাত্রীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ১০ বছর পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। মূল অভিযুক্ত আনসার আলি ও সইফুল আলির মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। তাতেই মুক্তি পেতে চলেছে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ। এই রায় ঘোষণার পর রাজ্য সরকার এবং প্রতিবাদীরা সুপ্রিম কোর্টে যায়। যুক্তি হিসাবে রাজ্য জানায়, এই ধরনের অপরাধের অপরাধী বেকসুর খালাস পেলে রাজ্যে আইন- শৃঙ্খলার সমস্যা হবে। সেই মামলারই শুনানিতে আপাতত এই নির্দেশ দিলেও মামলাটির শুনানি এখনও চলবে।