সংবাদদাতা, কাটোয়া: বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের অপসারণের দাবিতে শুক্রবার দাঁইহাটে বিজেপির সভা কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। কৃষ্ণ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কাটোয়া নগরমণ্ডল সভাপতি অনুপ বসু নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন। এরপর কৃষ্ণকে সভাপতি পদে না রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে দলের অন্দরের খবর। সেদিনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সেদিনের ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-কাটোয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি
দলের এক নেতার কথায়, ‘ভোটের আগে বর্ধমান শহরে আর এখন দাঁইহাটে দলের গোষ্ঠীকোন্দল যেভাবে প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’ দাঁইহাটে দলের দুই শীর্ষনেতা দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের সামনেই দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতির ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুই ছিলেন কৃষ্ণ ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে দলের একটি অংশ বারবার সরব হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, নিজস্ব অনুগামীদের সুবিধে পাইয়ে দেওয়া, পুরনো নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব না দেওয়া, ভোটের পর ঘরছাড়া কর্মীদের পাশে না-থাকা ইত্যাদি অভিযোগে কাটোয়া ও কালনা মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে বহুবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে দলের একটা বড় অংশ। শুক্রবারও বিক্ষুব্ধদের প্রধান দাবি ছিল, কৃষ্ণের অবিলম্বে অপসারণ। সেই দাবিকে কেন্দ্র করেই ধুন্ধুমার কাণ্ড, ভাঙচুর। কৃষ্ণ ও তাঁর অনুগামী অনুপ নিগৃহীত হন। নিগ্রহে অভিযুক্ত স্থানীয় বিজেপি নেতা চঞ্চল মণ্ডল ও মৃণাল দাসদের ক্ষোভ, ‘একটা লোক (কৃষ্ণ) দলের পাঠানো টাকা নয়ছয় করছে। তৃণমূলের দালালি করছে। আর দিলীপ ঘোষ নাকি তাঁর মামা না কাকা বলে পার পেয়ে যাচ্ছে! সভাপতি হওয়ার পর দিলীপবাবু ১৭ বার কাটোয়া এসেছেন। সব বারই কৃষ্ণের কাণ্ড জানিয়েছিলাম। উনি কোনও আমল দেননি!’ এ ব্যাপারে কৃষ্ণের প্রতিক্রিয়া, ‘যা বলার, যা করার, রাজ্য নেতৃত্ব করবেন। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটাই পালন করব।’