➡️ পরিচালক এবং বিধায়ক দুটো দায়িত্ব কীভাবে সামলাচ্ছেন?
⏩ দুটোই খুব কঠিন কাজ। দুটো কাজেরই কোনও শর্টকাট হয় না। চেষ্টা করছি দায়িত্বগুলিকে যথাযথভাবে পালন করবার, কারণ, আমি কাজ করতে ভালবাসি। আমাদের ২৪ ঘণ্টায় পুরো একটা দিন হয়। এই ২৪ ঘণ্টা কিন্তু অনেকটা সময়। আমরা যদি কাজ করতে চাই, তা হলে অনেক কাজে করে ফেলা সম্ভব। এই পুরো একটা দিনে ইচ্ছাশক্তিটাই আসল। আমার কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।
➡️ নিজের এলাকাকে কীভাবে সময় দিচ্ছেন?
⏩ এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে আমার কেন্দ্র বা এলাকার ওপরেই। এখানে অনেকটা বেশি সময় দিতে হচ্ছে, কারণ, অনেক কাজ বাকি। অনেক ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে এসেছি। টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে। এটা একটা বড় কাজ যা আমাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে হচ্ছে। মোটামুটি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমি আমার এলাকাতেই থাকছি। আমার নিজের পরিচালনা বা অফিসের জন্য এখন সময়টা কমই দিচ্ছি। ওগুলো ঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব সময়মতো।
আরও পড়ুন-হেরেও লজ্জা নেই, এখনও বাংলা ভাগের দাবি বিজেপি বিধায়কের!
➡️ আপনার কেন্দ্র ব্যারাকপুরে টিকাকরণের অগ্রগতি বা সাফল্য কীরকম?
⏩ ব্যারাকপুরে মোটামুটি ২ লক্ষ ১৭ হাজার মানুষ বা ভোটার রয়েছেন। আমাদের ৫০ শতাংশের ওপর মানুষের টিকাকরণ হয়ে গেছে। রোজ প্রায় হাজার লোককে ভ্যাকসিনেট করা হচ্ছে। সবাইকে টিকাকরণ করতে হলে আরও তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে, কাজ খুব দ্রুত এগোচ্ছে। কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন কম আসছে। যাঁরা সুপার স্প্রেডার যেমন অটোচালক, টোটোচালক, বাজারে সবজির ও মাছ বিক্রেতা, হকার, গ্যাস পরিবহণকর্মী, পাশাপাশি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার দরকার যাঁরা তাঁদের সবার ভ্যাকশিনেশন সম্পূর্ণ করে ফেলেছি। এত বড় একটা কাজ একদিননে তো সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি যাতে তাড়াতাড়ি সবাই ভ্যাকসিন পান।
➡️ দলের সাংস্কৃতিক সেলের চেয়ারম্যান হিসেবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী কী ?
⏩ পরিকল্পনা বলতে একটা রাজ্য কমিটি গড়তে হবে। আমি প্রেসিডেন্ট তারপরে তো আরও মানুষজন আছে। অনেক শিল্পী আছেন আমাদের দলে, তাঁদের নিয়ে জেলাস্তরে একটা কমিটি গড়া, শহরের কমিটি গড়া হবে। তৃণমূলের কালচারাল সেলের পক্ষ থেকে কীভাবে আরও সাংগঠনিকভাবে সবাইকে একজায়গায় নিয়ে আসা যেতে পারে, কাজ করা যেতে পারে, তার একটা বড় পরিকল্পনা রয়েছে। এই কালচারাল সেলটা আগে আমাদের দলে ছিল না। এটা একদমই নতুন। ফলে কাজটা একদমই শুরুর । ফলে অনেকের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। আমাদের দলে প্রচুর কালচারাল মানুষজন রয়েছেন তাঁদের পার্সেপশনটা বোঝা তাঁদের কালচারাললি পলিটিক্যালি স্ট্রং করাও মুখ্য উদ্দেশ্য।
➡️ মঞ্চ বা থিয়েটার শিল্পের বেশ ক্ষতি হয়েছে। ওপেন স্টেজে অভিনয় করার কথাও শোনা যাচ্ছিল। এই বিষয়ে কিছু ভাবছেন?
⏩ থিয়েটার, মঞ্চ এগুলোর দায়িত্ব তাদের সংশ্লিষ্ট কমিটির এখন যা পরিস্থিতি তাতে ওপেন স্টেজ অভিনয় করা বা না করা দুটোই সমান, কারণ, আসল তো দর্শক। সিনেমা বলুন, মঞ্চ বলুন বা থিয়েটার, যতক্ষণ পর্যন্ত না সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে এগুলোও নর্মালাইজ হওয়া মুশকিল। তবে এটুকু বলব মঞ্চ থিয়েটারের পাশে রাজ্য সরকার আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সব সময় দাঁড়িয়েছেন। সব রকম ভাবে সাহায্য করেছেন। সব পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে আবার সব আগের মতোই চলবে।
আরও পড়ুন-এবার বাংলাদেশের ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে ছবি নিশীথের
➡️ রিয়ালিটি শো পরিচালনা করার প্ল্যান করছেন?
⏩ আমার একটা প্রোডাকশন হাউস আছে। রাজ চক্রবর্তী এন্টারটেনমেন্ট। এই হাউসের পুরো একটা টিম রয়েছে। অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। রিয়্যালিটি শোটাও তার মধ্যে একটা পরিকল্পনা। আমাদের টিমের তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকটা কাজ চলছে, তাঁরা তাঁদের মতন করে কাজটা করছেন। রিয়্যালিটি শো-এর কাজটাও সেভাবেই এগোবে।
➡️ নতুন ছবির কোনও পরিকল্পনা?
⏩ এই মুহূর্তে নতুন কোনও ছবির পরিকল্পনা নেই। আমার দুটো ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’ আর ‘হাবজিগাবজি’ এখনও রিলিজ করা যায়নি। অনেকগুলো টাকার প্রোজেক্ট এগুলো। কোভিড পরিস্থিতিতে সবটাই আটকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, তারপর এই ছবিগুলো রিলিজ হলে অন্য ছবির পরিকল্পনা নিয়ে ভাবব।