নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : কংগ্রেসের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা আর নয়। বিজেপি বিরোধী জোট শক্তিশালী করার পাশাপাশি নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েই যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়।
মঙ্গলবার রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে তৃণমূলের সুস্মিতা দেবের শপথ নেওয়ার দিনই দিল্লিতে নিজের বাসভবন ৭ নম্বর মহাদেব রোডে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর কথায়, ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতবার যখন দিল্লিতে এসেছিলেন তখনই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সমস্ত অবিজেপি দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আসার আহ্বান জানিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছয় মাস অপেক্ষা করার পরও কোনও অর্থবহ বার্তা আসেনি। কিন্তু সেজন্য তো আর আদি অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না! তাই আগামী ভোটের কথা মাথায় রেখে এবার আমরাও নিজেদের মতো করে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকে নজর দেব।
আরও পড়ুন : অভিষেক থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপনির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে ঝড়
প্রসঙ্গত, বিগত রাজধানী সফরের সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস-সহ অবিজেপি দলগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন দিল্লিতে এসে। দেখা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও। কিন্তু তারপর, কংগ্রেসের তরফ থেকে এই জোটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনওকম আগ্রহ বা প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। এদিনও দিল্লিতে সুখেন্দুবাবু জানান, আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের হাতে সময় খুব কম। যাঁরা এখন আমাদের সঙ্গে হাত মেলাতে চান তাঁরা আসতে পারেন।
এদিকে জোট প্রসঙ্গে সুখেন্দুবাবু নাম না করে জানান, অনেকেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে যাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে কী জোট হবে? তৃণমূল শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে অধীরের সাফাই ছিল, সুন্দরবনের উন্নয়ন প্রসঙ্গে সেখানে দেখা করতে গিয়েছেন। এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, অধীরবাবু তো বহরমপুরের সাংসদ, তিনি কি এখন সুন্দরবন নিয়েও মাথা ঘামাচ্ছেন?