প্রতিবেদন : লাগাতার চারদিন ধরে রাজধানী সংলগ্ন আশপাশের এলাকার মানুষের নিঃশ্বাস নেওয়া রীতিমতো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দিল্লি লাগোয়া পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে যত বাড়ছে খড় জ্বালানোর ঘটনা ততই বাড়ছে রাজধানীর বায়ুদূষণের মাত্রা। ধোঁয়াশায় দিল্লির বাতাস আরও খারাপ হয়েছে। দশেরার পর থেকেই দিল্লির হাওয়া খারাপ হতে শুরু করেছে। নবরাত্রি এবং দশেরার পরের দিনই দিল্লির দূষণের মাত্রা ছিল ২০২০ সালের পর ‘সবচেয়ে খারাপ’।
আরও পড়ুন-ভোটমুখী রাজস্থানে সক্রিয় ইডি, তলব গেহলট-পুত্রকে, নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ধোঁয়াশায় পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ১৫০ মিটার দূর থেকে ইন্ডিয়া গেটের দৃশ্যমানতাও কমতে থাকে। বৃহস্পতিবার নিয়ে পরপর চারদিন দিল্লির আবহাওয়া ‘খারাপ’ শ্রেণির আওতায় এসেছে৷ বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ এলাকার একিউআই লেভেল ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। আনন্দবিহার এবং অন্যান্য কিছু এলাকার বায়ু মানের সূচক ৩০০ ছাড়িয়েছে। দুপুর ১টায় আনন্দবিহারে একিউআই স্তর ৩১৮ রেকর্ড করা হয়। দূষণের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রভাব৷ দিল্লির সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর ক্লিনিক এবং ডাক্তারদের চেম্বারে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, বুকজ্বালা সংক্রান্ত রোগে ভুগতে থাকা রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে এবার দিওয়ালির আগেই রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার দূষণের পরিস্থিতি প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন পরিবেশবিদদের একটা বড় অংশ৷
আরও পড়ুন-কাকভোরে সামশেরগঞ্জে ফের ভয়াবহ নদীভাঙন, বিপজ্জনক দশ বাড়ি
দিল্লিতে বাতাসের ধীর গতির কারণে বায়ুর চাপ কম থাকায় বায়ুমণ্ডলে দূষণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তান ও পাঞ্জাব থেকে আসা বাতাসও ধোঁয়া নিয়ে আসছে দিল্লির দিকে, যার জেরে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা বেড়েছে বলেই মত পরিবেশবিদদের।